রাহাতুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামে সম্প্রতি পৃথকভাবে নিখোঁজ দুই শিশুকে উদ্ধার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। রবিবার রাতে নগরীর হালিশহরের সিএন্ডবি ও খুলশীর মাস্টার লেইন এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়। দুই শিশু হলো- হালিশহরের রামপুরা এলাকার মো. আলমগীরের কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস মাইশা এবং খুলশীর সেগুন বাগান এলাকার বেলাল হোসেনের কন্যা জান্নাত আক্তার। তাদের দুজনের বয়স ৯ বছর।
সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা স্পিনা রানী প্রামাণিক জানান, গত ২৮ মার্চ পড়ালেখার জন্য বকা দিলে রামপুরা এলাকার বাসা থেকে অভিমান করে বের হয়ে যায় মাইশা। আত্মীয়-স্বজনের বাসাবাড়িতে খুঁজে না পেয়ে ২৯ মার্চ হালিশহর থানায় জিডি করেন মাইশার মা পারভীন আক্তার। পরে তাকে উদ্ধারের জন্য হালিশহর থানার ওসি (তদন্ত) মোজাহাদুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়।উদ্ধার অভিযান পরিচালনা দল ওই শিশুর স্বজন ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ, ঘটনাস্থলের আশেপাশে তল্লাশি, নগরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং ও পোস্টারিং করে। এছাড়া মনসুরাবাদ, দেওয়ানহাটসহ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে। ফুটেজ পর্যালোচনায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার রাতে হালিশহরের সিএন্ডবি এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ টিপুর হেফাজত থেকে মাইশাকে উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে টিপু জানান, ‘২৮ মার্চ রাত নয়টার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে তার পিছু নেয় শিশু মাইশা। এ সময় নাম-পরিচয় জিজ্ঞেস করলে কিছুই জানাতে পারেনি শিশুটি। আশপাশে খোঁজ করেও কোনো স্বজন না পেয়ে নিরাপত্তার জন্য বাসায় নিয়ে যান তিনি।
এদিকে গত ২৭ মার্চ রাত নয়টার দিকে নগরীর খুলশী সেগুন বাগান এলাকার ভাইয়ের বাসা থেকে নিখোঁজ হয় আরেক শিশু জান্নাত। শিশুটির মা মারা যাওয়ায় ভাইয়ের বাসায় থাকতো। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে খুশলী থানায় জিডি করা হয়।
খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, নগরের মাস্টার লেইন এলাকার বাসিন্দা রেলওয়ে কর্মচারী রেহানা আক্তারের বাসা থেকে জান্নাতকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে জানা যায়, স্বজনদের না জানিয়ে লালন-পালনের জন্য রেলওয়ে কর্মচারী রেহানা আক্তারের বাসায় দিয়ে এসেছিলেন শিশু জান্নাত আক্তারের খালাতো বোন সাজু আক্তার।