পবিত্র রমজান মাসের মধ্যে দুই দফায় মসজিদ প্রাঙ্গণে অভিযান চালায় ইসরাইলি পুলিশ। অভিযানকে কেন্দ্র করে ইসরাইলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। এরপর ইসরাইলে রকেট ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এর জবাবে লেবানন ও গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালায় ইসরাইল।
শুক্রবার ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাতে জড়িত সব পক্ষকে উত্তেজনা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। রাশিয়া জানিয়েছে, সহিংসতা বৃদ্ধির আশঙ্কায় তারা খুবই উদ্বিগ্ন। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সংঘাতে যুক্ত সব পক্ষকে আমরা মুখোমুখি হওয়ার মতো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। একইসঙ্গে মস্কো উত্তেজনা হ্রাস, সহিংসতা বন্ধ এবং স্থায়ী অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে ইরান সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা ‘সতর্ক’ আছেন। হিজবুল্লাহর উপপ্রধান শেখ নাইম কাসেম এক টুইট বার্তায় এই কথা বলেন। অন্যদিকে ইরান লেবাননে ইসরাইলের বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, লেবাননের সঙ্গে ইসরাইল বড় ধরনের সংঘাতে যাবে না। লেবানন ভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওয়াসিল আওয়াদা বলেন, ইসরাইল জবাব দিতে চায়। তবে তারা বড় পরিসরে যুদ্ধ চায় না, যুদ্ধে তারা হিজবুল্লাহকে যুক্ত করতে চায় না।
সূত্র: আল জাজিরা