ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘গত বছর যে ডেঙ্গুর বিস্তার হয়েছে, সেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আমরা যথার্থভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।’
‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মৌসুম পরবর্তী জরিপে বলা হয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুধু ১২ নম্বর ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ পাওয়া গেছে। তার মানে আমরা যে কাজ করেছি জরিপেও সেই তথ্য প্রমাণিত হয়েছে। সেটার সুফল ঢাকাবাসী পাচ্ছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু রোধে সব রকম প্রস্তুতি আমরা নিয়ে চলেছি।’আজ রবিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র তাপস বলেন, ‘২০২১ সালে ১০টি অঞ্চলে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত ছিল। গত বছর এ ক্ষেত্রে একটু আমাদের ঘাটতি হয়েছে। গত বছর আমরা ৪ জন পেয়েছিলাম, তাদের দিয়ে আমাদের কাজ চালাতে হয়েছিল। এত বড় এলাকা, এত জনবসতি, সেখানে অল্প জনবল দিয়ে যথার্থ সুফল পাওয়া যায় না।’
‘এখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে আষাঢ়-শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন; এই ৪ মাস যেন আমরা ১০ জন করেই (ম্যাজিস্ট্রেট) পাই…অনেক সময় দেখা যায়, দেওয়া হয় কিন্তু আবার তাদের পরে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়—এটা যেন না হয়। এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে যথাযথভাবে এই কার্যক্রমকে আমরা বেগবান করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে কটি দেশ (ডেঙ্গু প্রতিরোধে) সফল হয়েছে, তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে, জরিমানা করেছে। এটা না হলে কিন্তু সচেতনতা সেই অনুযায়ী বৃদ্ধি হয় না।’
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা অগ্রিম আরও হুইলব্যারো, ফগার ও লার্ভি সাইডিং মেশিন আমদানির প্রক্রিয়া এরই মধ্যে নিয়েছি। এটা আমরা নিজ অর্থায়নে করব। মন্ত্রণালয় থেকে যদি আমাদের বরাদ্দ দেওয়া হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের জন্য সহায়তা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা হিসাব করে দেখেছি, ১০ ভাগের মতো (মেশিন) নষ্ট হয়, সে জন্য আমরা ওইভাবে চিন্তা করে, পরিকল্পনা করে অগ্রিম আমদানি করার ব্যবস্থা করে নিচ্ছি। কোনো সময় কোনো ঘাটতিতে যেন আমাদের না পড়তে হয়।’