পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে থেকেই পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। যার ধারাবাহিকতা ঈদ পরবর্তী বাজারেও দেখা গেছে।
ঈদ পরবর্তী বাজারে সূচকের টানা উত্থানের পাশাপাশি চলতি মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হতেও দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসের ওপরে উঠে এসেছে। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দীর্ঘ মন্দার পর ঈদের আগ থেকেই বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। ডিসেম্বর ক্লোজিংয়ের কারণে কিছু কিছু কোম্পানি ভালো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য কমিশনও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাপান সফর করেন। সব মিলিয়ে আমরা মনে করছি, ঈদ পরবর্তী সময়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে। যারা সাইডলাইনে বসে ছিল তারাও বিনিয়োগে আসতে শুরু করেছেন। ঈদ পরবর্তী সময়ে পুঁজিবাজার আরও গতিশীল হচ্ছে। বাজারের গতিশীলতার স্বার্থে অতি দ্রুত বন্ডে বিনিয়োগ এক্সপোজার লিমিটেডের বাইরে রাখার বিষয়টি সুরাহা করতে হবে। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের ওপরে ট্যাক্স সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
এদিকে, ঈদ পরবর্তী সপ্তাহে (২৪-২৭ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়েছে এক হাজার ৫২৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বা ১০৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯৯৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয় এক হাজার ৪৭৫ কোটি ৩ লাখ টাকা। ঈদের পর প্রথম সপ্তাহেই ডিএসই বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি।
বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৬ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে তুলনায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে দশমিক ৭৩ শতাংশ। আর দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে ৫২ শতাংশের বেশি। যা ঈদ পরবর্তী বাজারের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।
এ নিয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের সভাপতি আতাউল্লা নাইম বলেন, ঈদ পরবর্তী পুঁজিবাজার নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। বাজার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিভিন্ন উদ্যোগের সুফল শিগগিরই দেখতে পাবো বলে আমরা আশাবাদী।