কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যাকাণ্ডের তিনদিনের মাথায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে দাউদকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী পপি আক্তার। মামলায় নয়জনকে এজাহারনামীয় ও আটজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) আলমগীর ভূঞা।
তিনি বলেন, মামলা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম বলা যাচ্ছে না।এ কর্মকর্তা জানান, আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। আমাদের সাথে অন্যান্য সংস্থা আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।
গত রবিবার রাত ৮টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজারে হত্যা করা হয় জেলার তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেনকে। তিনজন বোরকা পরিহিত ব্যক্তি তাকে গুলিতে হত্যা করেন। জামাল হোসেন তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তিতাস উপজেলা বাড়ি হলেও তিনি ব্যবসা করতেন পাশের দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাজারে। এর আগেও তিতাস উপজেলায় রাজনৈতিক ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে তিতাস এবং দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজারে পৃথক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের ধারণা, সবগুলো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যোগসূত্র রয়েছে।