শ্রমিক ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ থেকে নার্স নেবে কুয়েত

0
79

নতুন দেশ থেকে প্রবাসী কর্মীদের নিয়োগের জন্য ব্যবস্থা নিতে কুয়েতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন  দেশটির প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ তালাল আল-খালেদ আল-সাবাহ।  নতুন দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নামও। কুয়েত টাইমসের একটি প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে কুয়েতে রয়েছে এমন বৃহৎ জনগোষ্ঠীর লোকদের বাইরে অন্য দেশের শ্রমিকদের এ সিদ্ধান্তের আওতায় সুযোগ দেওয়া হবে।নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে শ্রমের ঘাটতি মেটাতে এবং শ্রমের উৎসকে বৈচিত্র্যময় করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে এবং ‘জনসংখ্যাগত ভারসাম্যহীনতা সমস্যা’ মোকাবেলায় রাষ্ট্রের প্রচেষ্টার অংশ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
কুয়েতের জনশক্তি সংক্রান্ত সরকারি কর্তৃপক্ষ পিএএম অনুসারে, নির্দেশাবলীতে নতুন শ্রম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য তাদেরকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করতে বলা হয়েছে।

এদিকে বিশেষায়িত শ্রমশক্তি পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করতে ফিলিপাইনের একটি প্রতিনিধিদল মে মাসের শেষের দিকে কুয়েতে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফিলিপাইন থেকে কর্মী নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে তারা আলোচনা করবে। এরপর এই কার্যক্রম আবারও শুরু করতে পিএএম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করবে।

প্রতিনিধিদলটি গৃহকর্মীদের জন্য দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ এবং সপ্তাহে এক দিন বিশ্রামের অনুরোধ করবে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে এই সীমা অতিক্রম করলে ওভারটাইম বেতনের অনুরোধ করা হবে।

ইতিমধ্যে পাবলিক টেন্ডারের কেন্দ্রীয় সংস্থা তিনটি দরপত্র প্রদানের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ অনুমোদন করেছে। এর মাধ্যমে ১৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে সব প্রশাসনিক বিভাগকে চিকিৎসা সহায়তা পরিষেবা দেওয়া হবে। চুক্তিগুলোর মাধ্যমে হাওয়ালি, সাবাহ, ক্যাপিটাল, জাহরা, ফারওয়ানিয়া, মুবারক আল-কাবীর এবং আহমাদির স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে নার্স সরবরাহ করা হবে।

বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, কুয়েতের মন্ত্রণালয় ভারতীয়, বাংলাদেশি এবং ফিলিপিনো নার্সদের নতুন ব্যাচ গ্রহণে ইতিমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নতুন এলাকায় খোলা হবে—এমন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বিদ্যমান হাসপাতাল ও কেন্দ্রগুলোর ঘাটতিও পূরণ করা হবে।

এই সিদ্ধান্তগুলো কুয়েতের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার বোঝা কমিয়ে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা করোনা মহামারির কারণে গুরুতর চাপের মধ্যে রয়েছে। এই পদক্ষেপটি দেশের উচ্চ বেকারত্বের হার প্রশমিত এবং মূল খাতে শ্রমের ঘাটতি মোকাবেলায়ও সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here