হঠাৎ করেই ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকে মঙ্গলবার (৯ মে) পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়। ‘অবৈধভাবে আল-কাদির ট্রাস্টকে জমি বরাদ্দ দেওয়ার’ একটি দুর্নীতি মামলায় তাকে আটক করা হয়। প্যারামিলিটারি রেঞ্জার্সের সদস্যরা আদালতের বায়োমেট্রিক ভবনের জানালা ভেঙে ইমরানকে নিয়ে যায়।
এরপর পরই রাস্তায় নেমে আসেন ইমরান খানের সমর্থকরা। এদিন পাকিস্তানের মতো দেশে অভাবনীয় দৃশ্য দেখা যায়। ইমরান খানের ক্ষুব্ধ সমর্থকরা রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে ঢুকে পড়েন। এছাড়া সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের দপ্তরগুলোতে হামলা-ভাঙচুর করা হয়।মূলত ইমরান খানের এ গ্রেফতারের পেছনে সেনাবাহিনীর হাত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ গ্রেফতার হওয়ার আগেও ইমরান বলেছিলেন, গত বছরের নভেম্বরে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসির। গত বছর থেকেই ফয়সাল নাসিরের কথা বারবার উচ্চারণ করে আসছিলেন ইমরান।
এই মেজর জেনারেলকে দোষরোপ করায় পরশুদিন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী একটি বিবৃতি দেয়। এর পরের দিনই ইমরানকে আদালতের ভেতর থেকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেনাবাহিনী এসব কিছুতে জড়িত— এমন চিন্তা-ভাবনা থেকেই মানুষ সর্বোচ্চ বাহিনীটির সদর দপ্তরে ঢুকে পড়ার মতো সাহস দেখান।