প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সে অসন্তুষ্ট স্তেফানো পিওলি, দ্বিতীয়ার্ধের পারফম্যান্সে খুশি। আশাভরে তাকিয়ে তিনি দ্বিতীয় লিগে। মিলান ডার্বিতে দুই গোলের ব্যবধান ঘুচিয়ে দেওয়া কঠিন বটে। তবে এখনই ফাইনাল স্বপ্নের ইতি দেখছেন না এসি মিলান কোচ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে মিলান ডার্বিকে এবার বলা হচ্ছিল ‘ইউরোডার্বি।’ তুমুল আলোচিত সেই লড়াইয়ে প্রথম লেগে বুধবার (১১ মে) এসি মিলানকে ২-০ গোলে হারায় ইন্টার মিলান। এই ম্যাচের আগে টুর্নামেন্টে নিজেদের সবশেষ ৬ ম্যাচ মিলিয়ে স্রেফ ১টি গোল হজম করেছিল মিলান। কিন্তু ডার্বিতে তারা ২ গোল খেয়ে বসে খেলা শুরুর ১১ মিনিটেই! ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এই প্রথম ইন্টারের কাছে হারের স্বাদ পেল মিলান। শেষ নয় এখানেই। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ইন্টারের কাছে তাদের তৃতীয় হার এটি। সেই ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমের পর প্রথমবারে এক মৌসুমে তিনটি মিলান ডার্বিতে হারের তেতো স্বাদ পেল তারা। সব মিলিয়ে মিলানের ভুলে যাওয়ার মতো ম্যাচ। দুই দলের মাঠ একই হলেও প্রথম লেগ অফিসিয়ালি ছিল তাদেরই ‘হোম’ ম্যাচ। মিলানের হতাশা তাই আরও বেশি।
ম্যাচ শেষে মিলান কোচ স্তেফানো পিওলি অ্যামাজন প্রাইম ইতালিয়াকে বললেন, প্রথমার্ধের পারফরম্যান্সই শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দিয়েছে ম্যাচে।
বাস্তবতা হলো, প্রথমার্ধে মিলানের চেয়ে অনেক ভালো খেলছে ইন্টার। তারা দুটি গোল করেছে। আমরা দ্বিতীয়ার্ধে উন্নতি করেছে এবং গোছানো পারফরম্যান্স দেখিয়েছি। কিন্তু জালের দেখা পাইনি। এটিই গুরুত্বপূর্ণ।
চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাতটি শিরোপাজয়ী দল মিলান সবশেষ সাফল্যের স্বাদ পেয়েছে সেই ২০০৭ সালে। ১৬ বছর পর সেই দিন ফেরানোর আশা বড় ধাক্কা খেল প্রথম লেগেই। পিওলি বললেন, দ্বিতীয় লেগে আক্রমণভাগে আরও জোর দিতে হবে তাদের। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ সুযোগ তৈরি করেছি আমরা, কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। দ্বিতীয় লেগে স্বাভাবিকভাবেই আরও আগ্রাসী মানসিকতা দেখাতে হবে আমাদের এবং আরও ভালো খেলতে হবে। ফিনিশং আরও নিখুঁত করতে হবে।
অসুস্থতার কারণে এই ম্যাচে রাফায়েল লিয়াওকে পায়নি মিলান। পিওলির আশা- পরের লেগে পাওয়া যাবে এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে। তিনি বলেন, আজকে সে খেলার মতো অবস্থায় ছিল না। তবে পরের ম্যাচ ছয় দিন পর। আশা করি, সে প্রস্তুত হয়ে উঠবে।”