দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের সময় সেন্টমার্টিনে ১৪৭ কিলোমিটার গতি ছিল। এতে অনেক গাছপালা পড়ে গেছে। ভেঙে গেছে দুই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সফলভাবে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলা সম্ভব হয়েছে।’
আজ সোমবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রথম কোনো ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করা হলো যেখানে কোনো মৃত্যু হয়নি। এজন্য এটাকে বিশাল সফলতা হিসেবে দেখছি। কারণ, প্রাণহানিটা সবচেয়ে বড় লস। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবসময় আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন একজনও যেন আশ্রয় কেন্দ্রের বাইরে না থাকে, একজনও যেন ঝুঁকির মধ্যে না থাকে।’
এনামুর রহমান বলেন, ‘ঝড়ে অনেক গাছপালা পড়ে গেছে। কক্সবাজারের টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিনে ২ হাজারের মতো ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ১০ হাজারেরও মতো আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেন্টমার্টিনে ১২শ’ বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গাছচাপা পড়ে কয়েকজন মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাইনি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার শতভাগ মানুষকে আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পেরেছিলাম। যার জন্য হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।’
ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষ তাদের ঘরে ফিরে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ মাঠপর্যায়ে তালিকা করা হচ্ছে। চাহিদার হিসাব শেষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে ক্ষতিপূরণ পাঠানো হবে। অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকেও সাহায্য পাঠানো হবে। সড়ক, বিদ্যুৎ, স্থানীয় সরকার আলাদাভাবে তাদের কাজ করবে।’
তিনি বলেন, ‘রাস্তায় গাছপালার প্রতিবন্ধকতা ইতোমধ্যে সরানো হয়েছে। যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে।’