২০২১ সালে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর অন্তত ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র আমদানি করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। যদিও দেশটির অস্ত্র আমদানিতে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। দেশটির সেনা শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে আছে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণহত্যার মতো গুরুতর অভিযোগ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক স্পেশাল র্যাপোর্টার (মিয়ানমার) টম অ্যান্ডুস একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, চীন, রাশিয়া ও সিঙ্গাপুরের কোম্পানি থেকেই এসব অস্ত্র কিনছে মিয়ানমার। জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে গেল দুই বছরে সাড়ে ১২ হাজার অস্ত্র কেনাকাটার ঘটনার রেকর্ড তারা নথিবদ্ধ করতে পেরেছে।
যুদ্ধ বিমান থেকে ড্রোন ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কেনার ওপর জোর দিয়েছে মিয়ানমার।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে ৪০৬ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনেছে মিয়ানমার। চীন থেকে এসেছে ২৫৪ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র। বাকি ২৫৪ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র মিয়ানমারকে সরবরাহ করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক কয়েকটি কোম্পানি। এছাড়াও ভারত থেকে ৫১ মিলিয়ন ও থাইল্যান্ডের কাছ থেকে ২৮ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনেছে মিয়ানমার।
সংশ্লিষ্ট খাতের বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে ও বিদ্রোহী দমনে অস্ত্র ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার পথে হাঁটছে মিয়ানমার।