ইউপি চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র তিন প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নে এই সংঘর্ষ হয়।
এলাকাবাসী জানায়, দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন শুরু হয় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায়। ইউনিয়নের শ্রীপুর বালী মহিষা দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোট চলছিল। দুপুর ১টার দিকে নৌকার প্রার্থীর কিছু সমর্থক হঠাৎ করে কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এতে স্বতন্ত্র তিন প্রার্থীর লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ নিয়ে দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে দু’পক্ষের লোকজন রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে অসীম বিশ্বাস, তাসীম, ভুলন, আরমান মিয়া, মেহেদী হাসান সাদ, মাসুদ পারভেজ খান, শুভ, সেলিম মিয়া, রিয়াদ, গৌরব, ফজল হকসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। পুলিশ প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, দক্ষিণ বিশিউড়া ইউপির চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার প্রার্থী। এর মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে আবদুর রহমান, ঢোল প্রতীক নিয়ে নাসির উদ্দিন রানা, আনারস প্রতীক নিয়ে খন্দকার আজিজুর রহমান মাজহারুল ও ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মোখলেছুর রহমান দৌলত লড়ছেন। এই ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৯৮৩।
নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমান লিটন জানান, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর অন্য প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত নৌকার ১০ কর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অসীম বিশ্বাসসহ তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হোসনে আরা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে বালী মহিষাটী দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের বাইরে ভিন্ন ভিন্ন কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর স্বাভাবিক ভোট গ্রহণ চলে।
উল্লেখ্য, বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ সেলিম গত ১৩ মার্চ হৃদরোগে মারা গেলে তার পদটি ফাঁকা হয়।