হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের গেট স্থাপনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বুরহানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।পুলিশ জানায়, আগামী শুক্রবার গেদা মিয়া চৌধুরীর ছেলে রাহিম চৌধুরীর বিয়েকে কেন্দ্র করে সরকারি পাকা সড়কের উপর গেট স্থাপন করেন। মঙ্গলবার সকালে জাকির হোসেনের ভাগনা তুহিন আহমেদের নেতৃত্বে কয়েস-শরীফসহ ৮-১০ জন যুবক বিয়ের গেট জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে হওয়ায় তাদের মানহানি হয়েছে দাবি করে গেট ভাঙচুর করে এবং গেটের সরঞ্জাম তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাহিম চৌধুরীসহ পঞ্চায়েতের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে জাকির হোসেন ও তার লোকজনের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের লোকজন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধসহ ২০ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহতরা হলেন-সৌদি প্রবাসী দিলাওর হোসেন (৪৩), শামীম আহমদ (৩২), আকিনুর রহমদ (৩০), দিদার আহমদ (২৬), রহিমা খাতুন (৪০), সাজু আহমদ (২৮), আব্দুল হাদী (৫৫), মাহের আহমদ (২৭), রাহিম চৌধুরী (২৮), শাহানুর মিয়া (৩০), ইমরান আহমদ (২৫), সোহেল আহমেদ (২৭) সেকুল মিয়া (২৯), তুহিন আহমেদ (২৪), হান্নান মিয়া (২৬), শরীফ আহমদ (২৫), সাইফুল মিয়া (৩১), গেদা মিয়া (৪০), আকবর আলী (৪৫) ও রুহুউল্লাহ (৪৭)।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, বিয়ের গেট স্থাপনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে কয়েক রাউন্ড গুলি হয়েছে শুনতে পেরেছি। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।