গলা কেটে মরদেহ চেয়ারে বসিয়ে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা

0
66

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দুলাল চন্দ্র দাস (৫০) নামে এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার মরদেহ চেয়ারে বসিয়ে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। 

শনিবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার টঙ্গীর গ্রামে দীঘির পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুলাল  উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড় এলাকার চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি স্থানীয় ছয়ানি বাজারে ক্রোকারিজ ব্যবসা করতেন ও টঙ্গীরপাড় কালী মন্দিরসংলগ্ন দিঘি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতেন।

শনিবার সকাল ৯টায় ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লিজ নেওয়া দীঘি দুলাল বাড়ির পাশে। এ জন্য প্রতি রাতে দীঘির পাড়ে বসে মাছ পাহারা দিতেন তিনি। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও দুলাল মাছ পাহারা দিতে যান। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে মরদেহ চেয়ারে  বসিয়ে রেখে তারা পালিয়ে যায়। রাত সোয়া ৩টার দিকে একই বাড়ির এক ব্যক্তি মাছ ধরার জন্য জাল নিতে দুলালের কাছে দিঘির পাড়ে যান। তখন তিনি দুলালের নাম ধরে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া পাননি। এক পর্যায়ে তিনি দেখতে পান দুলালের রক্তাক্ত মরদেহ চেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়েছে। 

দুলালের প্রতিবেশী জয় ভূঁইয়া বলেন, টঙ্গীরপাড় গ্রামটি একটি ভয়ানক এলাকা। মাদক, জুয়াসহ সব ধরনের অপকর্ম হয় এখানে। দুলাল রাত জেগে দিঘীর মাছ পাহারা দেওয়ার কারণে ওই এলাকায় অপকর্ম কমে আসে। 

তিনি বলেন, দুষ্কৃতিকারীদের কোনো অপকর্ম দেখা ফেলার কারণে দুললাকে হত্যা করা হতে পারে।

ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, মাথা থেকে মুখ পর্যন্ত ও গলায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে দুলালকে। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার রাত দুইটা থেকে ৩টার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।  

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজিব বলেন, হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। নিহতের পরিবার, প্রতিবেশী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here