রাঙামাটিতে টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে শতাধিক পরিবার

0
61

টানা বর্ষণে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে শত শত পরিবার। এসব পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সচেতন করা হচ্ছে। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

শনিবার (৫ আগষ্ট) পর্যন্ত কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫৫ জন অবস্থান করছে। এ ছাড়া বাকিদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে কাপ্তাই উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসতে উপজেলা প্রশাসন ও কাপ্তাই তথ্য অফিস প্রতিনিয়ত প্রচারণা ও মাইকিং চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কাপ্তাইয়ের নতুন বাজারসংলগ্ন ঢাকাইয়া কলোনি এবং আফসারর টিলা নামক এই এলাকাগুলো পাহাড় ধসের বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় ৫৫ জন শুক্রবার থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে তাদের খাবার বিতরণ করে হয়েছে। এ ছাড়া অনান্য ইউনিয়নেও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

কাপ্তাই সহকারী তথ্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসাইন জানান, পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের সরিয়ে আনতে তথ্য অফিস নিয়মিত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

তবে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বেশকিছু বাসিন্দাদের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা দেখা যাচ্ছে।

তারা জানান, আরও বেশি বৃষ্টি হলেই তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাবেন।

এদিকে কাপ্তাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রায় শত শত পরিবার ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে বসবাস করছে।

রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ৪ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাঙামাটিতে ৭৭ দতশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ ছাড়া এর আগের দিন বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছিল ৯৪ মিলিমিটার।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে এমন টানা বর্ষণে ভয়াবহ পাহাড় ধসে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিলো অনেকেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here