খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং

0
76

আবু রাসেল সুমন খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধিঃখাগড়াছড়িতে গত এক সাপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টিপাত থাকার কারনে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করা সকল বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে জানিয়ে দিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।

রোববার (৬ আগস্ট) জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান,পার্বত্য এ জেলায় থেমে থেমে মাঝারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। যদিও পাশের দুই জেলা থেকে খাগড়াছড়িতে বৃষ্টিপাত তুলনামূলক ভাবে কম হয়েছে,টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের কারনে পাহাড় ধসের আশঙ্কা যদিও কম,তারপরও দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি ও আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে পাশাপাশি স্থানীয়দের সচেতন ও সতর্ক করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়। ওই সময় পাহাড়ি ঢল ও বন্যার আশঙ্কায় মাইকিং শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি তথ্য অফিসের মাধ্যমে জন সাধারনকে সর্তক করতে সড়কে প্রচার কার্যক্রম চলছে,জেলা শহরের শালবাগান, কলাবাগান, কুমিল্লাটিলা, সবুজবাগ এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ও নিম্নাঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সতর্ক করা হয়েছে।

পাহাড়ি ঢলে শহরের বুক চিরে প্রবাহিত চেঙ্গী নদীর পানি বাড়ে। তলিয়ে যায় নদী তীরবর্তী গ্রাম ও ঘরবাড়ি। এ সময় অনেকে ঝুঁকি নিয়ে স্রোতে ভেসে আসা গাছ-গাছালি ও লাকড়ি ধরতে নামেন। তাতে প্রতিবছরই মারা যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। এবার নদী তীরবর্তী এলাকায়ও সচেতনমূলক মাইকিং করা হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া বলেন, স্থানীয় জনগণের ক্ষয়ক্ষতি ও জানমাল রক্ষায় সচেতন করতে শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়েছে। প্রতিবছরই বর্ষার মৌসুমে পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকে। এছাড়া পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী নদীর পানি বাড়ে। সে সময়টায় মানুষজন যাতে ঝুঁকি এড়িয়ে চলে সেই বিষয়ে সচেতন করতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।

জেলা তথ্য অফিস সুত্র জানিয়েছে, জেলা সদরে ১০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত সেখানে আশ্রয় নিতে কেউ আসেনি।

খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান জানিয়েছে,টানা বৃষ্টিপাতে সড়কের ওপর পাহাড় ধসে পড়ার ঘটনা ঘটে। তাই
বৃষ্টির সময় পাহাড়ে চলাচলকারী যানবাহনকে গতি নিয়ন্ত্রণ ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সড়ক বিভাগের ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here