আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খেলা তাহলে হবে, খেলা আর বন্ধ হবে না। ফাউল করলে লাল কার্ড। নিজেরা (বিএনপি) আবার পালাই যাইয়েন না। ওদের পালাতে বাধ্য করবো, এ শপথ আমরা নিয়েছি। তাদের আন্দোলনের মহাযাত্রা উন্নয়নের মহাযাত্রায় কর্ণফূলীর নদীতে ভেসে যাবে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আওয়ামী লীগের জনসভায় দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। এরা অর্থপাচারকারী, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলা হবে ভোট চুরি, হাওয়া ভবন, লুটপাট, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। সামনে কোয়ার্টার ফাইনাল। জানুয়ারিতে ফাইনাল।
নেতকর্মীদের এ সময় তিনি প্রশ্ন করেন, প্রস্তুত? সবাই ঐক্যবদ্ধ? জবাবে নেতাকর্মীরা হ্যাঁ বলেন। তবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি একমত না। একজন আরেকজনকে ঠেকাচ্ছে। সবার রিপোর্ট নেত্রীর কাছে জমা আছে। চায়ের দোকানে বসে যারা অন্য নেতাদের সমালোচনা করছেন, তাদের খোঁজ আমরা নিচ্ছি। দল করলে শৃঙ্খলা মানতে হবে। শৃঙ্খল না হলে জয়ী হওয়া যাবে না। এটা দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ। আমার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবতীর্ণ হয়েছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এই দেশ যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন বেঁচে থাকবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনা। কর্ণফূলী নদীর তীরে এই টানেল যতদিন থাকবে… বৃহত্তর চট্টগ্রামে এটির ভূমিকা থাকবে, শেখ হাসিনাকে এই জনপদের মানুষ মনে রাখবে। শেখ হাসিনা আপনার কথা মনে রাখবে কর্ণফূলীর ঢেউ, বঙ্গোপসাগরের গর্জন। আপনি সাহসী, পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন, নিজের টাকায়।
তিনি আরও বলেন, বীর চট্টলার মানুষ লড়াই করে বাঁচতে হবে। ‘৭১ এর পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ক্ষমতা থেকে হটানোর চক্রান্ত করছে। যেখানে আপনাদের চট্টগ্রামের আমীর খসরু, ওই ফখরুল মূল কারিগর। এরা শয়তানদের নেতা, যারা শয়তানি করছে। এত জ্বালা কেন? দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম টানেল হয়েছে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপালে হয়নি; বাংলাদেশের চট্টগ্রামে হয়েছে। কে দিয়েছে? শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল লজ্জা করে না, এখন পদ্মা সেতু ব্যবহার করেন। পায়রা সেতু ব্যবহার করেন। এখন কয়টা সেতু? একদিনে ১৫০ সেতুর উদ্বোধন.. কয়েকদিন আগে শেখ হাসিনার হাতে উদ্বোধন হয়েছে। তারও কয়েকদিন আগে ১০০ সেতু উদ্বোধন। এটা একটা রেকর্ড, একদিনে ১০০ একদিনে ১৫০ সেতুর উদ্বোধন।