বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দলের মহাসচিবকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় আপাতত হরতাল-অবরোধের বিকল্প ভাবছে না বিএনপি। দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, ধারাবাহিক অবরোধ সফল করতে পারলে সারা দেশ থেকে রাজধানী ঢাকা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাতে সরকারের ওপর সব মহলের চাপ আরো বাড়বে। এর মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ঠেকানোও লক্ষ্য দলটির।
বিএনপির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা জানান, বৃহস্পতিবার প্রথম দফা অবরোধ কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর আগামী রবিবার থেকে আবার একই রকম কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। দলের স্থায়ী কমিটির গত দুই বৈঠকে সার্বিক রাজনৈতিক বিষয় পর্যালোচনা করে এমন সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
বিএনপি নেতারা মনে করেন, ২৮ অক্টোবরের সহিংস ঘটনার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার, দলের অন্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করতে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত সারা দেশে ৫২ মামলা এবং তাতে কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা—পুরো ঘটনা যে সরকারের পরিকল্পনার অংশ, তা এখন স্পষ্ট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, বিএনপির হারানোর কিছু নেই।
২৮ অক্টোবরের ঘটনায় বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি। বরং আন্দোলনের যে প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে, তা ধরে রাখতে পারলে বিএনপিই লাভবান হবে। ধারাবাহিক কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে চাপে ফেলাই এখন লক্ষ্য।