প্রধানমন্ত্রী আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যা বললেন

0
287

কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি৫) সময় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের বার্তা সংস্থা বাসস’র প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারটি নেন আল-জাজিরার সাংবাদিক নিক ক্লার্ক। সাক্ষাৎকারের একটি সংক্ষিপ্ত অংশ এরই মধ্যে সম্প্রচার করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ অংশটি আগামী ১১ মার্চ বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে সম্প্রচার করা হবে আল-জাজিরায়।

সাক্ষাৎকারে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি এবং সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সম্মেলনে যোগ দিতে গত ৪ মার্চ কাতারে পৌঁছান তিনি। প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎকারে বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণ বিবেচনা করে মিয়ানমারে নিপীড়ন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। ঢাকার সমস্যা সমাধানে আলোচনায় নিয়োজিত থাকলেও মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক নয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ও সেখানকার শরণার্থীরা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকট থেকে মনোযোগ সরিয়ে বিশ্বের আকর্ষণ করেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। যুদ্ধ (ইউক্রেনে) পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। পুরো ফোকাস (দৃষ্টি) এখন যুদ্ধ এবং ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীদের দিকে।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড এবং পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে যখন রোহিঙ্গা নিপীড়ন শুরু হয়, রোহিঙ্গারা নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয় তখন আমরা তাদের জন্য দুঃখ অনুভব করেছি। এরপর আমরা সীমান্ত খুলে দিয়েছি, আমরা তাদের আসতে দিয়েছি। এ ছাড়া আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের সকলের জন্য আশ্রয় ও চিকিৎসা দেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি আমরা মিয়ানমারের সঙ্গেও কথা বলতে শুরু করি। আমরা তাদের বলি, আপনারা তাদেরকে (রোহিঙ্গা) ফিরিয়ে নিন। দুর্ভাগ্যক্রমে তারা ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু এটা সত্যিই খুব কঠিন। আমরা তাদের জন্য আলাদা জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করেছি। ভাসান চর একটি ভালো জায়গা, থাকার জন্য ভালো জায়গা… আমরা সেখানে শিশুদের জন্য ভালো থাকার ব্যবস্থা এবং চমৎকার সুবিধার ব্যবস্থা করেছি।’

রোহিঙ্গা শিবিরে জীবনযাত্রার পরিস্থিতি এবং আগুনে ১২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার আশ্রয় হারানো প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তারা (রোহিঙ্গারা) একে অপরের সঙ্গে লড়াইরত। তারা মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িত। তারা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে যুক্ত রয়েছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here