বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার রোববার মধ্যরাতে এ অভিযোগ করেন।
দিদার বলেন, রোববার দিবাগত রাত ১২ টার পরপরই ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে শামসুজ্জামান দুদুর বড় বোনের ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়। সঙ্গে দুদুর ব্যবসায়ী ভাগ্নে হাসনাত আশরাফ রবিনকেও নিয়ে যায় পুলিশ।
গত ২৮ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা ও সরকারে পদত্যাগের একদফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতা–কর্মীরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ বিএনপি কর্মীরা কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা চালায়। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালেও।
বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। আহত হন প্রায় অর্ধশত। এ সময় সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর ওপরও হামলা করা হয়। ভাংচুর করা হয় গণমাধ্যমের কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল।
ওই দিন সন্ধ্যায় রোববার সারা দেশে সকাল–সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। হরতালের মধ্যেও বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। তাদের কর্মসূচির সাথে মিল রেখে জামায়াতে ইসলামীও তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
তাদের এ অবরোধের শেষদিন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নতুন করে রোববার ও সোমবার অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। প্রতিবারের মতো এবারও এই অবরোধে নিজেদের সমর্থন জানিয়ে একই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় জামায়াতে ইসলামী।
দ্বিতীয় দফা অবরোধের শুরুতেই গত শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাজধানীতে ৪টি সহ সারা দেশে মোট ৬টি যানবাহনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বিএনপি–জামায়াতের প্রথম দফা অবরোধের সময়েও ৩ দিনে রাজধানীতে ১২টি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছিল।
এসব ঘটনায় উসকানি, নাশকতা ও আগুন দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপির মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ শীর্ষস্থানীয় বেশ কজন নেতাকে।