ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে তীব্র ঝড়ো হওয়া শুরু হয়েছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে। এর মধ্যে মোংলা, শরণখোলা ও মোড়লগঞ্জে বাতাসের চাপ সবচেয়ে বেশি।
রোববার সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দমকা হাওয়া বইতে শুরু হয়। বিকেল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি ও বাতাস হলেও রাতে তীব্র ঝড় হওয়ার কারণে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রোববার সকাল থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন জেলার অধিকাংশ এলাকা। এর মধ্যে সারা দিন মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা ও রামপাল উপজেলার প্রায় অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। অন্যান্য এলাকায়ও বিদ্যুৎ ছিল যাওয়া-আসার মধ্যে। তবে জেলা সদরের পৌর শহরে রোববার রাত সাড়ে ১০টায়ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ সন্ধ্যা থেকে পুরোপুরি সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
সমিতির মহাব্যবস্থাপক সুশান্ত রায় বলেন, বাগেরহাট জেলায় ৪ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে পল্লী বিদ্যুতের মূল সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে। এতে কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্যোগ শেষ হলে লাইনে কাজ করে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করা হবে।