সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ৬ টাকা

0
17

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি বেড়েছে। নিজস্ব গুদামে মজুত বাড়িয়ে চালবাজিতে মেতে উঠেছে সংঘবদ্ধ চক্র। ইতোমধ্যে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম বেড়ে গেছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত; যা কেজি প্রতি দাড়ায় ২ থেকে ৬ টাকা। এর প্রভাবে এরইমধ্যে বাজার চড়া হতে শুরু করেছে বলে দাবি বিক্রেতাদের।

রাজধানীর বাজারগুলোতে সাত দিন আগেও এক কেজি মোটা পাইজাম চাল বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকায়। কিন্তু এখন ওই চালই বিক্রি হচ্ছে ৫৩-৫৪ টাকায়। যে মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৬৮-৭০ টাকায়, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৫ টাকায়। কেজিতে ৮-১০ টাকা বেড়েছে নাজিরশাইলের দাম। বর্তমানে প্রতিকেজি নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।

রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে। চালসহ বিভিন্ন পণ্যের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষোভ ঝরে তাদের কণ্ঠে। জহির নামে এক ক্রেতা বলেন, বর্তমানে বাজারের যে অবস্থা, তাতে জীবন চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সকালে কাঁচাবাজরে গিয়েছিলাম, প্রতিটি সবজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। কোনো কোনো সবজি শ ছাড়িয়েছে। মোটা চালও ৫০’র উপরে। যে যেভাবে পারছে, দেশটাকে চুষে খাচ্ছে। সরকারেরও তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখছি না।

অন্তু মুজাহিদ নামে আরেক ক্রেতা বলেন, চলতি বছর ধানের বাম্পর ফল হয়েছে। অথচ চালের দাম কমেনি বরং বেড়েছে। আর বর্তমানে যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তাতে আমাদের জীবন নাভিশ্বাস। বাজারে গেলে নিত্যপণ্যের দাম দেখে চমকে যায়। প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এসব দেখার কী কেউ নেই? এর শেষ কোথায়?

কল্যাণপুরে চালের খুচরা বিক্রেতা মারুফ কালবেলাকে বলেন, আমাদের হাতে কিছু নেই। চালের দাম প্রতি সপ্তাহেই কমবেশি বাড়ছে। তাই আমাদেরও বেশি দামেই চাল বিক্রি করতে হয়। সব ধরনের চালের দামই বেড়েছে।

আড়তদাররা দাবি করছেন, চালের দাম বাড়িয়েছে মিলাররা। নিজেদের গুদামে মজুত করে অল্প অল্প করে বাজারে ছাড়ছে তারা। সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের বস্তার দাম ৫০ টাকা বাড়িয়েছে। আর চিকন চালে ৫০ কেজির প্রতি বস্তার দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। মিলারদের পাশাপাশি চালের বাজার করপোরেট কোম্পানিগুলোও নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ তাদের।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করছেন মিলাররা। এ বিষয়ে সূচনা রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. সাইফুজ্জামান সলু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মিলারদের বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে চাল। তাই স্বাভাবিকভাবে উৎপাদন খরচ বেড়ে চালের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। আর এখন সব বস্তায় মূল্য উল্লেখ করা থাকে। তাই কারচুপির কোনো জায়গা নেই। সরকার প্রয়োজনে মিলারদের মিলেই যাচাই-বাছাই করে দেখুক, এখানে খরচ কেমন হয়, আর কী পরিমাণ লাভ হচ্ছে। দাম কেন বাড়ছে, তা জানতে মিলগুলোতে ঘুরলেই বুঝতে পারবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here