রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও পেশাদারদের সম্মানে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও কূটনৈতিকগণ। ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার সভাপতিত্বে ও সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, জেএসডি’র সভাপতি আসম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাপার একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর প্রমুখ।
ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়েছেন, বৃটিশ হাইকমিশনের গভর্নেন্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল টিমের প্রধান টমবার্গ, মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অফিসার ম্যাথিউ বে, ভারতীয় দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার রাজেশ অগ্নীহত্রী উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, এনপিপি চেয়ারম্যান এডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানী, মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
এ সময় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে দানবীয় সরকার আমাদের ওপর জবরদস্তিভাবে চেপে বসেছে। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা সকলে একযোগে রাস্তায় নেমেছি। আমরা মনে করি আমাদের সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা এবং এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারবো।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আর কতোদিন আমাদের মাথা নিচু করে চলতে হবে। লাল পতাকা শক্ত করে আঁকড়ে ধরতে হবে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।
জেএসসি’র সভাপতি আসম আব্দুর রব বলেন, মানুষের আহাজারি বাড়ছে, কিন্তু সরকার দর্শকের ভূমিকায়। সরকার নিজে কূটনৈতিক রীতিনীতি ভঙ্গ করে বহির্বিশ্ব নিয়ে যে বক্তব্য দিচ্ছেন তা নীতি বিবর্জিত। তিনি বলেন, রাজনীতির স্বার্থে নয়, দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে রাজপথে নামতে হবে; স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।
গণধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, যে অধিকার ও বৈষম্যের প্রতিবাদে স্বাধীনতার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও আজ সেই মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই সংগ্রাম করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে প্রমাণিত হয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে সুস্থ নির্বাচন সম্ভব নয়।