রাবিতে যৌন হয়রানির অভিযোগ : এবার উপাচার্যের হস্তক্ষেপ চাইলেন অভিযুক্ত অধ্যাপক

0
79

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির অভিযোগ ‘অতিরঞ্জিত’ ও ‘অসত্য’ দাবি করে উপাচার্য বরাবর লিখিত দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের অভিযুক্ত অধ্যাপক এনামুল হক। রবিবার লিখিত ওই আবেদনে নিজের নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে উপাচার্যের সুবিবেচনাপ্রসূত হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন তিনি।

আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‌‌‘মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া ও বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নাজমা আফরোজ আমার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন। বিষয়টি অতিরঞ্জিত ও অসত্য। যদিও একাডেমিক কমিটির সভা শেষে অধ্যাপক নাজমা আফরোজের সাথে অপ্রীতিকর তর্ক হয়েছিল, যার সূত্রপাত করেছিলেন ড. নাজমা আফরোজ নিজেই। তর্কের এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীন, আবেগীয় অবস্থায় আমি একটি শ্রুতিকটু শব্দ উচ্চারণ করে ফেলি, যেটি কখনোই যৌন হয়রানিমূলক নয়। উক্ত ক্ষুদ্র ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া ও নাজমা আফরোজ শুধু আমার বিরুদ্ধেই অবমাননাকর তৎপরতায় লিপ্ত নয়, বরং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। আমি মনে করি উক্ত ছোট একটি অপ্রীতিকর ঘটনা বিভাগেই সমাধানযোগ্য।’নিজের নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবা কানিজ কেয়া ও অধ্যাপক নাজমা আফরোজের নানাবিধ তৎপরতা ও বিভাগে বহিরাগত ব্যক্তিদের আনাগোনার কারণে আমি ব্যক্তিগতভাবে নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। ফলে বিভাগের পঠন-পাঠনের স্বার্থে সামগ্রিক বিষয়টিতে আপনার (উপাচার্যের) সুবিবেচনাপ্রসূত হস্তক্ষেপ কামনা করনছি।’

অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলছে, তাই এ বিষয়ে এখন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব না। ভর্তি পরীক্ষা শেষ হলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে, গত ২৩ মে অশালীন ভাষ্য ও অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে উপাচার্য বরাবর দুটি পৃথক অভিযোগ দেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া। পরে গত ২৭ মে নগরীর সাহেব বাজারে যৌন হয়রানি অভিযোগে অধ্যাপক এরামুল হকের শাস্তি দাবি করেন রাজশাহী নারী নির্যাতন ও সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ কমিটি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here