একমাস ধরে নানা টালবাহানা। তবে শেষরক্ষা হল না। বুধবার হয়ে গেল ‘মেয়েবেলা’র শেষ দিনের শুটিং। খবর ছড়িয়ে পড়তেই মন খারাপের রেশ দর্শকদের মধ্যে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মন খারাপের পোস্ট করেছেন ধারাবাহিকটির পরিচালক সুমন দাসও। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন নেটিজেনরা।
তারা বলছেন, কলকাতার চ্যানেলে ভালো কোনো সিরিয়াল চলতে পারে না। থাকতে হয় পরকীয়া ও সংসারের চুকলি কাটার মতো গল্প। পরকীয়া না থাকায় মেগাসিরিয়ালটি বন্ধ হয়ে গেল? এমনটাই অভিযোগ নেটিজেনদের। গত মে মাস থেকেই কলকাতার টেলিভিশন চ্যানেল স্টার জলসার সিরিয়ালে নানা ঝামেলা চলছিল।প্রথমে হঠাৎই ধারাবাহিকের কাজ ছেড়ে চলে যান রূপা গাঙ্গুলী। এদিকে মেয়েবেলা মেগাটিকে এত দিন রূপার ফিরে আসা হিসেবেই দেখা হচ্ছিল। অনলাইনে বীথির চরিত্রটা ট্রোল হলেও, মেগার অন্যতম আকর্ষণও ছিল এটাই। রূপা মেগা ছেড়ে দিলে নিয়ে আসা হয় অনুশ্রী দাসকে। তবে রূপা ছেড়ে যাওয়ার শূন্যতা থেকেই যায়।
এর পরই চ্যানেলের ‘মেয়েবেলা’ এর স্লট- অর্থাৎ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার স্লট দিয়ে দেওয়া হয় নতুন শুরু হওয়া ধারাবাহিক সন্ধ্যাতারা-কে। তার পরই চ্যানেলের সঙ্গে প্রযোজনা সংস্থা সুরিন্দর ফিল্মসের ঝামেলা শুরু হয়। বিগ বাজেটের মেয়েবেলাকে প্রাইম স্লট ছাড়া চালাতে রাজি হয় না সুরিন্দর ফিল্মস।
তাই তো প্রাথমিকভাবে বিকেল ৫টার স্লট দেওয়া হলেও কয়েক দিন পরেই বন্ধের ঘণ্টা বেজে গেল। সিরিয়ালের শেষ সম্প্রচার ছিল বুধবার। সেট থেকে ছবি শেয়ার করে মন খারাপ করা পোস্ট শেয়ার করলেন পরিচালক সুমন দাস। সুমন ফেসবুকে লিখলেন, ‘অনেক দিন পরে একটা মনের মতো শো পরিচালনা করতে পেরে খুব ভালো লাগছিল। কিন্তু সেটা এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে ভাবিনি।
যা-ই হোক, ভালো জিনিস কম হলেই ভালো। সেটা মনে থেকে যায়। আর মানুষও বিরক্ত হয় না। থ্যাংক ইউ সুরিন্দর ফিল্মস, থ্যাংক ইউ মেয়েবেলার সব আর্টিস্টের। থ্যাংক ইউ স্টার জলসাকে।’
মেয়েবেলা পরিচালকের এই পোস্টে মন খারাপ ধরা পড়ল দর্শকদেরও। একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘আমি এখনো ভাবতে পারছি না। এই দায় দর্শকদেরই নিতে হবে। পরকীয়া না দেখালে যদি কোনো শোর টিআরপি না ওঠে, তাহলে দর্শকদের পছন্দ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে। বেকার বাংলা সিরিয়ালকে ট্রোল করে লাভ কী! এ জন্যই তো মেয়েবেলার মতো একটা ভালো গল্পকে বন্ধ হয়ে যেতে হলো।’
আরেকজন লিখলেন, ‘গুড্ডির মতো একটা ধারাবাহিক এখনো চলছে, সেখানে মেয়েবেলা বন্ধ হচ্ছে। সত্যি কিছু বলার নেই আর।’ তৃতীয়জন লিখলেন, ‘মেয়েবেলা বন্ধের দায় রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের ওপরও বর্তায়। উনি হঠাৎ করে একদিন সিরিয়াল করবেন না ঠিক করলেন। একবার ভাবলেন না কতগুলো মানুষের কাজ যাবে। সত্যিই কিছু বলার নেই। আর দেখব না স্টার জলসার কোনও সিরিয়াল।’
চতুর্থজনের মন্তব্য, ‘নোংরামো ছাড়া প্রথম কোনো সিরিয়াল দেখছিলাম। ভাবিনি এ রকম পরিণতি হবে। গল্পটাও ঠিক করে শেষ করার সুযোগ পেল না। মৌ-ডোডোর রসায়নও দেখতে পেলাম না।’