পদ্মা সেতুতে চলন্ত গাড়িতে স্বয়ংক্রিয় টোল আদায় শুরু

0
96

পদ্মা সেতুতে প্রযুক্তির ব্যবহারে চলন্ত গাড়ি থেকে টোল আদায় অথাৎ ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) সিস্টেম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে।বুধবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল দিয়ে সেতু পার হন সেতু সচিব মঞ্জুর হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রেডিও ফ্রিকিউয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন-আরএফআইডি পদ্ধতিতে দুই পাড়ে একটি করে বুথে এই টোল আদায় শুরু হবে। এই পদ্ধতির জন্য রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ি টোল প্লাজার সামনে আসতেই রোবটিক ক্যামেরা গাড়ি শনাক্ত করবে। নির্ধারিত টোল কাটা হলে ব্যারিয়ার উঠবে এবং স্ক্রিনে ব্যালেন্স দেখা যাবে। এছাড়া হাইব্রিড সিস্টেম-টাচ অ্যান্ড গো পদ্ধতিও থাকবে। কার্ডে ব্যালেন্স থাকলে টাচে ক্যাশলেস টোল দেওয়া যাবে। কেউ চাইলে ক্যাশেও টোল দিতে পারবেন। নতুন এ দুই পদ্ধতি চালু হলে টোল প্লাজা অতিক্রমে কোনো সময় অপচয় হবে না।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে এখন ১৫টি লেন দিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া আধুনিক করার ক্ষেত্রে ১৭টি লেন চালু থাকবে। পরিকল্পনা রয়েছে—মাওয়া প্রান্তে ১ নম্বর বুথে আরএফআইডি, ২ নম্বর বুথে হাইব্রিড অর্থাত্ আরএফআইডি, টাচ অ্যান্ড গো এবং ক্যাশ তিন পদ্ধতিই থাকবে। আর ৩ থেকে ৭ নম্বর মোট ৫টি বুথে থাকবে টাচ অ্যান্ড গো এবং ক্যাশ। বাকি ৮ নম্বর বুথে শুধু মোটরসাইকেলের জন্য কমিপউটার কালেক্টর পদ্ধতিতে ম্যানুয়ালি বর্তমান সিস্টেমে টোল আদায় করা হবে। একইভাবে জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হবে। তবে এই প্রান্তের ৯টি বুথ থাকবে। এখানে ৮ ও ৯ নম্বর বুথে কমিপউটার কালেক্টর পদ্ধতিতে ম্যানুয়ালি নগদ টাকা আদায় করা হবে। এই টোল আদায়ের জন্য কার্ড এবং রেজিস্ট্রেশনের জন্য মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু উত্তর থানার কাছে কাউন্টার চালু করা হবে। বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ‘একপে’ কার্ড এবং রেজিস্ট্রেশনের কাজটা করার কথা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, যানবাহনের সামনে ড্যাশবোর্ডে থাকবে। আরএফআইডি নম্বর সংযুক্ত হবে ব্যাংক হিসাবে। এই আইডিতে অগ্রিম টাকাও রিচার্জ করা যাবে। বিশ্বের জনপ্রিয় এই দুই পদ্ধতি শুরু হচ্ছে। এই টোল পদ্ধতিতে অপেক্ষায় থাকতে হবে না। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের খবরে খুশি ব্যবহারকারীরাও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here