রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির ষাটোর্ধ্ব সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিয়ের ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশিদী দুজনকে ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ করে দেওয়াসহ সহায়কের ভূমিকা পালন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিয়েটি প্রথমে ছাড়াছাড়ি, পরে তালাক প্রত্যাহার এবং শেষ পর্যন্ত পালটাপালটি জিডি ও উচ্চ আদালতে গড়ায়।
এই ঘটনার কারণে দেশের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভাবমূর্তিও চরম সংকটের মুখে পড়েছে।এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল কবীর দুলু বলেন, নাতির বয়সি একটি বাচ্চাকে পরিচালনা কমিটির সদস্যের এভাবে বিয়ের ঘটনা বিনা বিচারে পার পাওয়া উচিত নয়। তাহলে এ ধরনের ঘটনা সারা দেশে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অরক্ষিত হয়ে পড়বে ছাত্রীদের জন্য। পাশাপাশি এ ঘটনা আইডিয়ালের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিও চরম ক্ষুণ্ন করেছে।
ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, সব ঘটনার পেছনে আছেন অধ্যক্ষ। তিনি কেবল আমার মেয়ের জীবনই নষ্ট করেননি। স্কুলের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করেছেন। তার বিচারের দাবিতে অভিভাবকরা শিগগিরই মানববন্ধন করবেন।
এ ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মুশতাক বলেন, অধ্যক্ষ ফৌজিয়া রাশিদী তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু। কোথাও ভেন্যু খালি না পাওয়ায় ও তহবিল সংকট থাকায় বিনামূল্যে তার বাগানবাড়িতে শিক্ষা সফর করা হয়েছে। এই বিয়ের পেছনে অধ্যক্ষের ভূমিকা নেই। এখানে বেআইনি কিছু ঘটেনি। তাহলে তিনি জামিন পেতেন না। বরং তার ঠিকানা হতো কাশিমপুর।