মাঠ দখলে মরিয়া দু’দল

0
70

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই দূরত্ব বাড়ছে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের। কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে—আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান আশা করা হলেও দিন দিন সেই সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। অন্যদিকে, বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন প্রশ্নে অনড় আওয়ামী লীগ। বিপরীতমুখী একদফা ঘোষণার পর দুপক্ষই রাজনীতির মাঠ দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। একই দিনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি এবং তা পিছিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দুপক্ষের এমন অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নানা কারণে গত এক দশকে রাজনীতির মাঠে বিএনপি অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তাদের অবস্থান আরও দুর্বল হয়। মামলা-হামলায় বিপর্যস্ত অনেক নেতাকর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। ফলে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ ছাড়াই গত এক দশক দেশ চালিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

তবে গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন করে চাঙ্গা হয়ে ওঠে বিএনপি। এরপর ধারাবাহিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সংগঠিত হয়েছে দলটি। নিজেদের গুছিয়ে বড় বড় মিছিল-সমাবেশসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন গতিশীল করছে তারা।

বিএনপির এই ঘুরে দাঁড়ানো ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সামনে ছুড়ে দিয়েছে নতুন চ্যালেঞ্জ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারাও দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসা নীতি ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে যারা বাধা সৃষ্টি করবে, তাদেরই এই নীতির আওতায় আনা হবে। তবে এই নীতি নিজেদের পক্ষে বলে ভাবছেন বিএনপিপন্থিরা। এর পরই দলটির কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়ছে। আতঙ্কগ্রস্ত নেতাকর্মীরা এখন অনেকটা শঙ্কাহীন।

চলতি মাসেই বিএনপি দেশব্যাপী তারুণ্যের সমাবেশ ঘোষণা করে। দলটির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে এ কর্মসূচি সবকটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া জেলা ও বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয় শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি। বলতে গেলে সবকটি কর্মসূচিতে মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। এমন পরিস্থিতিতে দলটির নেতাকর্মীরা অনেকটাই উজ্জীবিত। বিএনপি চাইছে নেতাকর্মীদের এই শঙ্কাহীন অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে বড় আন্দোলনের দিকে যেতে। সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।

বিএনপি সূত্র বলছে, সরকারকে তারা আর কোনো ছাড় দিতে নারাজ। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তারা আর পিছু হটবে না। এক্ষেত্রে সরকার মহাসমাবেশে বাধা দিলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। দলটির নেতারাও বলছেন, নির্বাচনের বাকি আর কয়েক মাস। দাবি আদায়ের এখনই মোক্ষম সময়। নেতাকর্মীরাও অনেকটা উজ্জীবিত। সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে দলটি আরেক দফা ভুলের মধ্যে পড়বে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় তারা।

জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে একদফা আদায়ে এখন থেকেই চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে বিএনপির প্রতি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাপ রয়েছে। তবে ২০১৪ সালের মতো পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক দলের নীতিনির্ধারকরা। কোনো রকম জ্বালাও-পোড়াও বা সহিংস কর্মসূচির বাইরে জনসম্পৃক্ত এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।

বিএনপি নেতারা মনে করেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিলে তা বহির্বিশ্বের সহমর্মিতা পেতে সহায়ক হবে। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার যুক্তিও শক্তিশালী হবে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ক্রমান্বয়ে কঠোর কর্মসূচির দিকে ধাবিত হতে চায় দলটি।

বিএনপি বলছে, মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানে সরকার সহযোগিতা করলে সুস্থ ধারায় গণতান্ত্রিকভাবে একদফার কর্মসূচি চলবে। আর ক্ষমতাসীনরা যদি অত্যাচার-নির্যাতন, গ্রেপ্তার, হামলা-মামলা বাড়িয়ে দেয়, মহাসমাবেশ ভন্ডুল করে দেয়—সে অনুযায়ী কর্মসূচি নির্ধারিত হবে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি যে কোনো দিকে টার্ন নিতে পারে। তাই সরকারের অবস্থান দেখে একদফার পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবে বিএনপি।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নানা কারণে গত এক দশকে রাজনীতির মাঠে বিএনপি অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তাদের অবস্থান আরও দুর্বল হয়। মামলা-হামলায় বিপর্যস্ত অনেক নেতাকর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। ফলে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ ছাড়াই গত এক দশক দেশ চালিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

তবে গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন করে চাঙ্গা হয়ে ওঠে বিএনপি। এরপর ধারাবাহিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সংগঠিত হয়েছে দলটি। নিজেদের গুছিয়ে বড় বড় মিছিল-সমাবেশসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন গতিশীল করছে তারা।

বিএনপির এই ঘুরে দাঁড়ানো ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সামনে ছুড়ে দিয়েছে নতুন চ্যালেঞ্জ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারাও দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসা নীতি ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে যারা বাধা সৃষ্টি করবে, তাদেরই এই নীতির আওতায় আনা হবে। তবে এই নীতি নিজেদের পক্ষে বলে ভাবছেন বিএনপিপন্থিরা। এর পরই দলটির কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়ছে। আতঙ্কগ্রস্ত নেতাকর্মীরা এখন অনেকটা শঙ্কাহীন।

চলতি মাসেই বিএনপি দেশব্যাপী তারুণ্যের সমাবেশ ঘোষণা করে। দলটির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে এ কর্মসূচি সবকটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া জেলা ও বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয় শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি। বলতে গেলে সবকটি কর্মসূচিতে মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। এমন পরিস্থিতিতে দলটির নেতাকর্মীরা অনেকটাই উজ্জীবিত। বিএনপি চাইছে নেতাকর্মীদের এই শঙ্কাহীন অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে বড় আন্দোলনের দিকে যেতে। সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।

বিএনপি সূত্র বলছে, সরকারকে তারা আর কোনো ছাড় দিতে নারাজ। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তারা আর পিছু হটবে না। এক্ষেত্রে সরকার মহাসমাবেশে বাধা দিলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। দলটির নেতারাও বলছেন, নির্বাচনের বাকি আর কয়েক মাস। দাবি আদায়ের এখনই মোক্ষম সময়। নেতাকর্মীরাও অনেকটা উজ্জীবিত। সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে দলটি আরেক দফা ভুলের মধ্যে পড়বে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় তারা।

জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে একদফা আদায়ে এখন থেকেই চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে বিএনপির প্রতি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাপ রয়েছে। তবে ২০১৪ সালের মতো পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক দলের নীতিনির্ধারকরা। কোনো রকম জ্বালাও-পোড়াও বা সহিংস কর্মসূচির বাইরে জনসম্পৃক্ত এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।

বিএনপি নেতারা মনে করেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিলে তা বহির্বিশ্বের সহমর্মিতা পেতে সহায়ক হবে। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার যুক্তিও শক্তিশালী হবে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ক্রমান্বয়ে কঠোর কর্মসূচির দিকে ধাবিত হতে চায় দলটি।

বিএনপি বলছে, মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানে সরকার সহযোগিতা করলে সুস্থ ধারায় গণতান্ত্রিকভাবে একদফার কর্মসূচি চলবে। আর ক্ষমতাসীনরা যদি অত্যাচার-নির্যাতন, গ্রেপ্তার, হামলা-মামলা বাড়িয়ে দেয়, মহাসমাবেশ ভন্ডুল করে দেয়—সে অনুযায়ী কর্মসূচি নির্ধারিত হবে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি যে কোনো দিকে টার্ন নিতে পারে। তাই সরকারের অবস্থান দেখে একদফার পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবে বিএনপি।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান কালবেলাকে বলেন, ‘বিএনপি এই নীতিতে বিশ্বাসী, দেশে যদি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে যে আন্দোলন হবে, সেটিও হতে হবে গণতান্ত্রিক। বিএনপির সব কর্মসূচিই হচ্ছে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। ভবিষ্যতে যে কর্মসূচিগুলো আসবে, তার মূল উপাদান হবে জনগণ এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করেই সরকারের ওপর যে অনাস্থা দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা হবে।

তবে বিএনপিকে মাঠ ছেড়ে দিতে রাজি নয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির বিভিন্ন অঙ্গসহযোগী সংগঠন প্রায় প্রতিদিনই নানা কর্মসূচি পালন করছে। বিএনপির কর্মসূচির পাশাপাশি আওয়ামী লীগ পালন করছে শান্তি সমাবেশ। প্রতিটি কর্মসূচিতে বিপুল জনসমাগম ঘটানো হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে সফলভাবে সরকার পরিচালনা করলেও সংগঠন গোছানোর ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে। অতীতের ত্যাগী নেতাকর্মীরা অনেকেই অভিমানে দল থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। মূল দল এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনে ব্যাপক অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। সরকারের তৃতীয় মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড চাইছে অভিমানীদের দলে সক্রিয় করার। যাতে বিএনপি ও সমমনারা রাজনৈতিক মাঠ দখল করতে না পারে।

আওয়ামী লীগ সূত্র বলছে, বিএনপিকে একটি কর্মসূচিও বিনা চ্যালেঞ্জে ছাড় দিতে চায় না ক্ষমতাসীনরা। অতীতের আন্দোলনের অভিজ্ঞতায় দলটির নেতাকর্মীরা বিএনপির যে কোনো কর্মসূচির দিনেই শক্ত পাহারায় থাকেন।

তারা বলছেন, বিএনপি যাতে জনসমাগম ঘটিয়ে ভিন্ন কোনো লক্ষ্য পূরণ না করতে পারে। রাজনৈতিক সুবিধার জন্য বহির্বিশ্বকে ভুল বার্তা দিতে পারে তারা। এ জন্যই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শক্ত কর্মসূচির ঘোষণা দিচ্ছেন। রাজনীতির মাঠ কোনোভাবেই বিএনপিকে ছেড়ে দিতে চায় না তারা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান কালবেলাকে বলেন, ‘বিএনপির হুমকি-ধমকি রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থি। তাদের কথাবার্তা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের আচরণের মধ্যে পড়ে না। আওয়ামী লীগ শান্তি-সমাবেশের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করছে। কেউ যদি আইনের ব্যত্যয় ঘটায়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই ব্যবস্থা নেবে।’

দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম কালবেলাকে বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাস, অপরাজনীতি ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শুধু নয়, আওয়ামী লীগের কর্মসূচি আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সারা দেশেই ধারাবাহিকভাবে শান্তি, উন্নয়ন ও সম্প্রীতির সমাবেশ চলবে।’

বলেন, ‘বিএনপি এই নীতিতে বিশ্বাসী, দেশে যদি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে যে আন্দোলন হবে, সেটিও হতে হবে গণতান্ত্রিক। বিএনপির সব কর্মসূচিই হচ্ছে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। ভবিষ্যতে যে কর্মসূচিগুলো আসবে, তার মূল উপাদান হবে জনগণ এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করেই সরকারের ওপর যে অনাস্থা দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা হবে।

তবে বিএনপিকে মাঠ ছেড়ে দিতে রাজি নয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির বিভিন্ন অঙ্গসহযোগী সংগঠন প্রায় প্রতিদিনই নানা কর্মসূচি পালন করছে। বিএনপির কর্মসূচির পাশাপাশি আওয়ামী লীগ পালন করছে শান্তি সমাবেশ। প্রতিটি কর্মসূচিতে বিপুল জনসমাগম ঘটানো হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে সফলভাবে সরকার পরিচালনা করলেও সংগঠন গোছানোর ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে। অতীতের ত্যাগী নেতাকর্মীরা অনেকেই অভিমানে দল থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। মূল দল এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনে ব্যাপক অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। সরকারের তৃতীয় মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড চাইছে অভিমানীদের দলে সক্রিয় করার। যাতে বিএনপি ও সমমনারা রাজনৈতিক মাঠ দখল করতে না পারে।

আওয়ামী লীগ সূত্র বলছে, বিএনপিকে একটি কর্মসূচিও বিনা চ্যালেঞ্জে ছাড় দিতে চায় না ক্ষমতাসীনরা। অতীতের আন্দোলনের অভিজ্ঞতায় দলটির নেতাকর্মীরা বিএনপির যে কোনো কর্মসূচির দিনেই শক্ত পাহারায় থাকেন।

তারা বলছেন, বিএনপি যাতে জনসমাগম ঘটিয়ে ভিন্ন কোনো লক্ষ্য পূরণ না করতে পারে। রাজনৈতিক সুবিধার জন্য বহির্বিশ্বকে ভুল বার্তা দিতে পারে তারা। এ জন্যই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শক্ত কর্মসূচির ঘোষণা দিচ্ছেন। রাজনীতির মাঠ কোনোভাবেই বিএনপিকে ছেড়ে দিতে চায় না তারা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নানা কারণে গত এক দশকে রাজনীতির মাঠে বিএনপি অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তাদের অবস্থান আরও দুর্বল হয়। মামলা-হামলায় বিপর্যস্ত অনেক নেতাকর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। ফলে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ ছাড়াই গত এক দশক দেশ চালিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

তবে গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন করে চাঙ্গা হয়ে ওঠে বিএনপি। এরপর ধারাবাহিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সংগঠিত হয়েছে দলটি। নিজেদের গুছিয়ে বড় বড় মিছিল-সমাবেশসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন গতিশীল করছে তারা।

বিএনপির এই ঘুরে দাঁড়ানো ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সামনে ছুড়ে দিয়েছে নতুন চ্যালেঞ্জ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারাও দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসা নীতি ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে যারা বাধা সৃষ্টি করবে, তাদেরই এই নীতির আওতায় আনা হবে। তবে এই নীতি নিজেদের পক্ষে বলে ভাবছেন বিএনপিপন্থিরা। এর পরই দলটির কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়ছে। আতঙ্কগ্রস্ত নেতাকর্মীরা এখন অনেকটা শঙ্কাহীন।

চলতি মাসেই বিএনপি দেশব্যাপী তারুণ্যের সমাবেশ ঘোষণা করে। দলটির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে এ কর্মসূচি সবকটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া জেলা ও বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয় শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি। বলতে গেলে সবকটি কর্মসূচিতে মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। এমন পরিস্থিতিতে দলটির নেতাকর্মীরা অনেকটাই উজ্জীবিত। বিএনপি চাইছে নেতাকর্মীদের এই শঙ্কাহীন অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে বড় আন্দোলনের দিকে যেতে। সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।

বিএনপি সূত্র বলছে, সরকারকে তারা আর কোনো ছাড় দিতে নারাজ। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তারা আর পিছু হটবে না। এক্ষেত্রে সরকার মহাসমাবেশে বাধা দিলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। দলটির নেতারাও বলছেন, নির্বাচনের বাকি আর কয়েক মাস। দাবি আদায়ের এখনই মোক্ষম সময়। নেতাকর্মীরাও অনেকটা উজ্জীবিত। সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে দলটি আরেক দফা ভুলের মধ্যে পড়বে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় তারা।

জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে একদফা আদায়ে এখন থেকেই চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে বিএনপির প্রতি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাপ রয়েছে। তবে ২০১৪ সালের মতো পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক দলের নীতিনির্ধারকরা। কোনো রকম জ্বালাও-পোড়াও বা সহিংস কর্মসূচির বাইরে জনসম্পৃক্ত এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।

বিএনপি নেতারা মনে করেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিলে তা বহির্বিশ্বের সহমর্মিতা পেতে সহায়ক হবে। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার যুক্তিও শক্তিশালী হবে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ক্রমান্বয়ে কঠোর কর্মসূচির দিকে ধাবিত হতে চায় দলটি।

বিএনপি বলছে, মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানে সরকার সহযোগিতা করলে সুস্থ ধারায় গণতান্ত্রিকভাবে একদফার কর্মসূচি চলবে। আর ক্ষমতাসীনরা যদি অত্যাচার-নির্যাতন, গ্রেপ্তার, হামলা-মামলা বাড়িয়ে দেয়, মহাসমাবেশ ভন্ডুল করে দেয়—সে অনুযায়ী কর্মসূচি নির্ধারিত হবে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি যে কোনো দিকে টার্ন নিতে পারে। তাই সরকারের অবস্থান দেখে একদফার পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবে বিএনপি।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান কালবেলাকে বলেন, ‘বিএনপি এই নীতিতে বিশ্বাসী, দেশে যদি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে যে আন্দোলন হবে, সেটিও হতে হবে গণতান্ত্রিক। বিএনপির সব কর্মসূচিই হচ্ছে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। ভবিষ্যতে যে কর্মসূচিগুলো আসবে, তার মূল উপাদান হবে জনগণ এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করেই সরকারের ওপর যে অনাস্থা দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা হবে।

তবে বিএনপিকে মাঠ ছেড়ে দিতে রাজি নয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির বিভিন্ন অঙ্গসহযোগী সংগঠন প্রায় প্রতিদিনই নানা কর্মসূচি পালন করছে। বিএনপির কর্মসূচির পাশাপাশি আওয়ামী লীগ পালন করছে শান্তি সমাবেশ। প্রতিটি কর্মসূচিতে বিপুল জনসমাগম ঘটানো হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে সফলভাবে সরকার পরিচালনা করলেও সংগঠন গোছানোর ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে। অতীতের ত্যাগী নেতাকর্মীরা অনেকেই অভিমানে দল থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। মূল দল এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনে ব্যাপক অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। সরকারের তৃতীয় মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড চাইছে অভিমানীদের দলে সক্রিয় করার। যাতে বিএনপি ও সমমনারা রাজনৈতিক মাঠ দখল করতে না পারে।

আওয়ামী লীগ সূত্র বলছে, বিএনপিকে একটি কর্মসূচিও বিনা চ্যালেঞ্জে ছাড় দিতে চায় না ক্ষমতাসীনরা। অতীতের আন্দোলনের অভিজ্ঞতায় দলটির নেতাকর্মীরা বিএনপির যে কোনো কর্মসূচির দিনেই শক্ত পাহারায় থাকেন।

তারা বলছেন, বিএনপি যাতে জনসমাগম ঘটিয়ে ভিন্ন কোনো লক্ষ্য পূরণ না করতে পারে। রাজনৈতিক সুবিধার জন্য বহির্বিশ্বকে ভুল বার্তা দিতে পারে তারা। এ জন্যই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শক্ত কর্মসূচির ঘোষণা দিচ্ছেন। রাজনীতির মাঠ কোনোভাবেই বিএনপিকে ছেড়ে দিতে চায় না তারা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান কালবেলাকে বলেন, ‘বিএনপির হুমকি-ধমকি রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থি। তাদের কথাবার্তা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের আচরণের মধ্যে পড়ে না। আওয়ামী লীগ শান্তি-সমাবেশের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করছে। কেউ যদি আইনের ব্যত্যয় ঘটায়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই ব্যবস্থা নেবে।’

দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নানা কারণে গত এক দশকে রাজনীতির মাঠে বিএনপি অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তাদের অবস্থান আরও দুর্বল হয়। মামলা-হামলায় বিপর্যস্ত অনেক নেতাকর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। ফলে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ ছাড়াই গত এক দশক দেশ চালিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

তবে গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন করে চাঙ্গা হয়ে ওঠে বিএনপি। এরপর ধারাবাহিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সংগঠিত হয়েছে দলটি। নিজেদের গুছিয়ে বড় বড় মিছিল-সমাবেশসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন গতিশীল করছে তারা।

বিএনপির এই ঘুরে দাঁড়ানো ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সামনে ছুড়ে দিয়েছে নতুন চ্যালেঞ্জ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারাও দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসা নীতি ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে যারা বাধা সৃষ্টি করবে, তাদেরই এই নীতির আওতায় আনা হবে। তবে এই নীতি নিজেদের পক্ষে বলে ভাবছেন বিএনপিপন্থিরা। এর পরই দলটির কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়ছে। আতঙ্কগ্রস্ত নেতাকর্মীরা এখন অনেকটা শঙ্কাহীন।

চলতি মাসেই বিএনপি দেশব্যাপী তারুণ্যের সমাবেশ ঘোষণা করে। দলটির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে এ কর্মসূচি সবকটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া জেলা ও বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয় শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি। বলতে গেলে সবকটি কর্মসূচিতে মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। এমন পরিস্থিতিতে দলটির নেতাকর্মীরা অনেকটাই উজ্জীবিত। বিএনপি চাইছে নেতাকর্মীদের এই শঙ্কাহীন অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে বড় আন্দোলনের দিকে যেতে। সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।

বিএনপি সূত্র বলছে, সরকারকে তারা আর কোনো ছাড় দিতে নারাজ। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে তারা আর পিছু হটবে না। এক্ষেত্রে সরকার মহাসমাবেশে বাধা দিলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। দলটির নেতারাও বলছেন, নির্বাচনের বাকি আর কয়েক মাস। দাবি আদায়ের এখনই মোক্ষম সময়। নেতাকর্মীরাও অনেকটা উজ্জীবিত। সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে দলটি আরেক দফা ভুলের মধ্যে পড়বে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় তারা।

জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে একদফা আদায়ে এখন থেকেই চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে বিএনপির প্রতি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাপ রয়েছে। তবে ২০১৪ সালের মতো পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক দলের নীতিনির্ধারকরা। কোনো রকম জ্বালাও-পোড়াও বা সহিংস কর্মসূচির বাইরে জনসম্পৃক্ত এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।

বিএনপি নেতারা মনে করেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিলে তা বহির্বিশ্বের সহমর্মিতা পেতে সহায়ক হবে। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার যুক্তিও শক্তিশালী হবে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ক্রমান্বয়ে কঠোর কর্মসূচির দিকে ধাবিত হতে চায় দলটি।

বিএনপি বলছে, মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানে সরকার সহযোগিতা করলে সুস্থ ধারায় গণতান্ত্রিকভাবে একদফার কর্মসূচি চলবে। আর ক্ষমতাসীনরা যদি অত্যাচার-নির্যাতন, গ্রেপ্তার, হামলা-মামলা বাড়িয়ে দেয়, মহাসমাবেশ ভন্ডুল করে দেয়—সে অনুযায়ী কর্মসূচি নির্ধারিত হবে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি যে কোনো দিকে টার্ন নিতে পারে। তাই সরকারের অবস্থান দেখে একদফার পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবে বিএনপি।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান কালবেলাকে বলেন, ‘বিএনপি এই নীতিতে বিশ্বাসী, দেশে যদি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে যে আন্দোলন হবে, সেটিও হতে হবে গণতান্ত্রিক। বিএনপির সব কর্মসূচিই হচ্ছে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। ভবিষ্যতে যে কর্মসূচিগুলো আসবে, তার মূল উপাদান হবে জনগণ এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করেই সরকারের ওপর যে অনাস্থা দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা হবে।

তবে বিএনপিকে মাঠ ছেড়ে দিতে রাজি নয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির বিভিন্ন অঙ্গসহযোগী সংগঠন প্রায় প্রতিদিনই নানা কর্মসূচি পালন করছে। বিএনপির কর্মসূচির পাশাপাশি আওয়ামী লীগ পালন করছে শান্তি সমাবেশ। প্রতিটি কর্মসূচিতে বিপুল জনসমাগম ঘটানো হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে সফলভাবে সরকার পরিচালনা করলেও সংগঠন গোছানোর ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে। অতীতের ত্যাগী নেতাকর্মীরা অনেকেই অভিমানে দল থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। মূল দল এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনে ব্যাপক অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। সরকারের তৃতীয় মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এসে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড চাইছে অভিমানীদের দলে সক্রিয় করার। যাতে বিএনপি ও সমমনারা রাজনৈতিক মাঠ দখল করতে না পারে।

আওয়ামী লীগ সূত্র বলছে, বিএনপিকে একটি কর্মসূচিও বিনা চ্যালেঞ্জে ছাড় দিতে চায় না ক্ষমতাসীনরা। অতীতের আন্দোলনের অভিজ্ঞতায় দলটির নেতাকর্মীরা বিএনপির যে কোনো কর্মসূচির দিনেই শক্ত পাহারায় থাকেন।

তারা বলছেন, বিএনপি যাতে জনসমাগম ঘটিয়ে ভিন্ন কোনো লক্ষ্য পূরণ না করতে পারে। রাজনৈতিক সুবিধার জন্য বহির্বিশ্বকে ভুল বার্তা দিতে পারে তারা। এ জন্যই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শক্ত কর্মসূচির ঘোষণা দিচ্ছেন। রাজনীতির মাঠ কোনোভাবেই বিএনপিকে ছেড়ে দিতে চায় না তারা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান কালবেলাকে বলেন, ‘বিএনপির হুমকি-ধমকি রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থি। তাদের কথাবার্তা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের আচরণের মধ্যে পড়ে না। আওয়ামী লীগ শান্তি-সমাবেশের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করছে। কেউ যদি আইনের ব্যত্যয় ঘটায়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই ব্যবস্থা নেবে।’

দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বসুন্ধরানিউজকে বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাস, অপরাজনীতি ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শুধু নয়, আওয়ামী লীগের কর্মসূচি আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সারা দেশেই ধারাবাহিকভাবে শান্তি, উন্নয়ন ও সম্প্রীতির সমাবেশ চলবে।’

বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাস, অপরাজনীতি ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শুধু নয়, আওয়ামী লীগের কর্মসূচি আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সারা দেশেই ধারাবাহিকভাবে শান্তি, উন্নয়ন ও সম্প্রীতির সমাবেশ চলবে।’

বলেন, ‘বিএনপির হুমকি-ধমকি রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থি। তাদের কথাবার্তা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের আচরণের মধ্যে পড়ে না। আওয়ামী লীগ শান্তি-সমাবেশের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করছে। কেউ যদি আইনের ব্যত্যয় ঘটায়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই ব্যবস্থা নেবে।’

দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বসুন্ধরানিউজকে বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাস, অপরাজনীতি ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শুধু নয়, আওয়ামী লীগের কর্মসূচি আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সারা দেশেই ধারাবাহিকভাবে শান্তি, উন্নয়ন ও সম্প্রীতির সমাবেশ চলবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here