পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থান করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে তারা ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রাতে তারা প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে।
এ ঘটনার পর থেকে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
নাইজারের জাতীয় টিভিতে সামরিক অভ্যুত্থানের কথা ঘোষণা করেছে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল মেজর আমাদো আবড্রামান। তিনি বলেন, ‘আমরা, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা বাহিনী… দেশের চলমান শাসনের অবসান ঘটাতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চলমান নিরাপত্তাব্যবস্থার অবনতি এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার মধ্যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
আমাদো আবড্রামানে আরও বলেন, দেশটির সব সীমান্ত বন্ধ ও দেশজুড়ে কারফিউ (সান্ধ্য আইন) জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশের সব প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঘোষণার সময় আবড্রামানের সঙ্গে আরও ৯ জন কর্মকর্তা ছিলেন। তারা নিজেদের দেশটিকে রক্ষা করতে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দাবি করেন। এ সময় তারা বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক করেন।
এ অভ্যুত্থানের একদিন আগে নাইজারের প্রেসিডেন্সি জানান, যে দেশটির এলিট গার্ডের সদস্যরা প্রজাতন্ত্রবিরোধী আন্দোলনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয় যে প্রেসিডেন্ট বাজুম বিদ্রোহীদের দ্বারা বাসভবনে অবরুদ্ধ হয়েছেন।
তবে আবড্রামানের এ ঘোষণায় বর্তমানে প্রেসিডেন্ট কোথায় আছেন বা পদত্যাগ করেছেন কিনা সেটি স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বাজুমের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন নিউজিল্যান্ডে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আজ সকালে প্রেসিডেন্ট বাজুমের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি এটা স্পষ্ট করছি যে নাইজারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র তাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। আমরা তার দ্রুত মুক্তির দাবি করছি।’
এর আগে ২০২১ সালের মার্চে দেশটিতে সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাজুমের শপথ নেওয়ার কয়েকদিন আগেই সেনাবাহিনীর একটি অংশ এ ব্যর্থ চেষ্টা করে।