বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ভোটার নন। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান এবং কোকোর কন্যা জাহিয়া রহমান ভোটার। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তারেক রহমান বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে। ভোটার তালিকা তৈরির কাজে নিযুক্ত ইসির কর্মকর্তারা জানান, বেগম খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ৬ শহীদ মঈনুল রোডের ঠিকানায় ভোটার হয়েছেন। ওই দিন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মঈনুল রোডের বাস ভবনে খালেদা জিয়ার ভোটার ফরম পূরণ, ছবি এবং আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করেন ভোটার তালিকা প্রকল্পের কর্মীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এ ছাড়া মঈনুল রোডের ওই ঠিকানায় খালেদা জিয়াসহ মোট পাঁচজন ভোটার রয়েছেন।
ইসি সূত্র জানায়, প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান ও তার কন্যা জাহিয়া রহমান বারিধারা এলাকার ভোটার। তারা হাউজ ৫৬, ব্লক-জে, প্রগতি সরণি, বারিধারা-গুলশানের ঠিকানায় ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত রয়েছেন। ইসি কর্মকর্তারা জানান, ২০০৭-০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেশে প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন কার্যক্রম শুরু হয়। তখন তারেক রহমান ভোটার তালিকাভুক্ত হননি। একজন কর্মকর্তা বলেন, তখন কারাবন্দি থাকায় ছবিসহ ভোটার তালিকায় তারেক রহমানের নাম ওঠেনি। এরপর ২০০৮ সালে তারেক রহমান জামিনে মুক্তি পেয়ে লন্ডন চলে যান। তবে বাংলাদেশি হিসেবে যে কোনো সময় ভোটার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ভোটার হতে হবে। ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের আগে তারেক রহমান ভোটার ছিলেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা জানান, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। এরই মধ্যে শতাধিক প্রবাসীকে প্রথমবারের মতো জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্ট কার্ডও দেওয়া হয়েছে। আগামীতে সৌদি আরব ও লন্ডনে ভোটার তালিকার কাজ শুরু করার উদ্যোগ রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।