বিএনপিকে প্রতিহত করতে সময় নষ্ট করা হবে না, হুঁশিয়ারি নানকের

0
80

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে বিএনপিকে প্রতিহত করতে সময় নষ্ট করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। 

তিনি বলেন, দেশে নির্ধারিত দিনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনকে যদি বানচাল করতে চান তার সমুচিত জবাব আমরা রাজপথেই দিব। এ ব্যাপারে আমরা সামান্যতম কার্পণ্যতা করব না। কারণ বিএনপি খুনির দল, হত্যাকারীর দল।রবিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘ইতিহাস কথা কয়’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গনে তিন দিনব্যাপী এই চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজক আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছেন- নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ নাকি ১০টা আসনও পাবে না, বিদেশি প্রভুদের খুশি করার জন্য সরকার জঙ্গি গ্রেফতার করার নাটক করছে?। এটা লজ্জাকর, এই কথা বলে মির্জা ফখরুল পরিচ্ছন্নভাবে জঙ্গিদের পক্ষ নিয়েছেন। কাজেই এই জঙ্গিদের সঙ্গে আপনারাও জড়িত। কী কারণে জড়িত? কারণ দেশের নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য আপনারা এমন কোনও কাজ নেই যা কাজ করছেন না। এমন কোনও ষড়যন্ত্র নেই যা করছেন না।

বিএনপিকে হত্যাকারীর দল, খুনির দল আখ্যা আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নানক বলেন, ওরা এই দেশে ভাইয়ের সামনে বোনকে রেপ (ধর্ষণ) করেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের হাত কেটেছে, পা কেটেছে,  চোখ উপড়ে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ করার অপরাধে আমাদের ছোটখাট ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। ওরা এখন বলে গণতন্ত্রের কথা।

১৫ আগস্ট জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়ক হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জড়িত বলেও দাবি করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ওই পরাজিত শক্তি বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের লড়াই সংগ্রামের যে ইতিহাস তা মুছে দিতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ছবি দেওয়ালে টাঙ্গানো নিষেধ করে দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান এই খুনের দায় এড়াতে পারে না। জিয়াউর রহমানকে আমরা ৭৫ এর খুনি মনে করি। তার অনুসারীরা (বিএনপি নেতারা) এখন বাংলাদেশে সেই অপরাজনীতি থেকে বের হতে পারেন।

বিএনপির উদ্দেশ্য তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আপনারা চাইলে নির্বাচনে নাই আসতে পারেন। কিন্তু নতুন করে নির্বাচন বাঞ্চালের ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। আমরা বিশ্বাস করি আগামী নির্বাচনেও বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনবে।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তারা গড়তে দিতে চায় না। তারা বারবারই খুন-হত্যার রাজনীতি করতে চায়। খুন-ঘুম- হত্যার রাজনীতির মধ্য দিয়ে তারা নিজেদের রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে চায়। এই খুনিদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং অসম্প্রদায়িক চেতনার দেশ গড়তে হলে আবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে হবে। ওই পরাজিত শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। 

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ঢাকার কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, ইতিহাস কথা কয় চিত্র প্রদর্শনীর চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি ম. রাজ্জাক, কাজী শহিদুল্লাহ লিটন, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, খাইরুল হাসান জুয়েল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক তারেক সাঈদসহ অনেকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here