গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আবারও ক্ষমা করলো আওয়ামী লীগ। আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা এই নেতাকে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে তাকে ক্ষমা করা হয়েছে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সই করা এক চিঠিতে এই বিষয়টি জানানো হয়।
জাহাঙ্গীর আলম বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য ইতোপূর্বে আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরিপন্থী কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে ক্ষমাপ্রার্থীদের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। সেই সূত্রে আপনার প্রতিও ক্ষমা প্রদর্শন করা হলো। উল্লেখ্য, ভবিষ্যতে কোনো প্রকার সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও দল থেকে বহিষ্কার হয়ে পার পেয়ে যান গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়র। ২০২১ সালের শেষ দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে গোপনে ধারণ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও। তাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও গাজীপুর জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। পরে মেয়র পদ থেকেও বরখাস্ত হন তিনি। এরপর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করার কথা জানায় আওয়ামী লীগ।
পরে, চলতি বছরে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন পাননি জাহাঙ্গীর আলম। এরপর মা ও নিজের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন নেন তিনি। যদিও ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়ন বাতিল হয়। উচ্চ আদালতে আপিল করেও তা ফিরে পাননি। আর তার মা জায়েদা খাতুন নির্বাচন করেন। দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধচারণ করায় তখন জাহাঙ্গীর আলমকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। দল থেকে বহিষ্কার হয়েও হাল ছাড়েননি তিনি। শেষ পর্যন্ত তার মা জায়েদা খাতুন আওয়ামী লীগ প্রাথীকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর থেকে অবশ্য দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন এ নেতা।