মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে ইসরায়েল। এই তালিকায় বাংলাদেশের নামও রয়েছে। এছাড়া নাগরিকদের ‘যত দ্রুত সম্ভব’ মিসর ও জর্ডান ত্যাগ করতে বলেছে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে কাতারের সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
শনিবার (২১ অক্টোবর) এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা কাউন্সিল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোয় যা উল্লেখযোগ্য। তাই অবিলম্বে মিশর এবং জর্ডান ত্যাগ করার এবং অন্যান্য পার্শ্ববর্তী দেশে ভ্রমণ এড়াতে আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
মিসর-জর্ডানের পাশাপাশি মরক্কোর ব্যাপারেও সতর্ক ইসরায়েল। এ দেশটির জন্য হুমকির মাত্রা লেভেল-৩ এ উন্নীত করা হয়েছে। পাশাপাশি সেখানে ভ্রমণ এড়াতে পরামর্শ দিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা পরিষদ।
এছাড়া তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনসহ অন্যান্য আরব দেশ ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে। একইসঙ্গে মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও মালদ্বীপসহ আশপাশের দেশগুলোয় ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল।
জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের শঙ্কা, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় শুরু হওয়া ক্রমাগত যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলি নাগরিকরা সশস্ত্র সংগঠনটির লক্ষ্যবস্তু হবে।
হামাসের হামলার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। বিমান হামলার পাশাপাশি জল ও স্থল পথে আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি। তার আগে বিভিন্ন দেশে থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর মার্কিন নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে এই সতর্কবার্তা জারি করা হয়।
এসএএ/