আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়া হ্যারি কেইন জালের দেখা পেলেন আবারও। তিন মিনিটের মধ্যে মিলল আরেক গোল। ইউক্রেইনকে কোনো সুযোগ না দিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল ইংল্যান্ড। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে রবিবার (২৬ মার্চ) ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা। কেইনের গোলের পর একক নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বুকায়ো সাকা।
দুই বছর আগে দুই দলের সবশেষ দেখায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ আট থেকে বিদায় নিয়েছিল ইউক্রেন। ইংলিশদের প্রায় সেই একই স্কোয়াডের বিপক্ষে এবারও কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারল না রাশিয়ার আগ্রাসনে বিধ্বস্ত দেশটি।তিন দিন আগে ইতালির জালে বল পাঠিয়ে দেশের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়া হ্যারি কেইনকে এদিন ম্যাচের আগে সম্মাননা জানানো হয়। ‘স্পেশাল বুট’ পরে খেলতে নেমে টটেনহ্যাম হটস্পারের এই ফরোয়ার্ড ২৪তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার একটি ‘হাফ-চান্সও’ পান; তবে জর্ডান হেন্ডারসনের ছয় গজ বক্সের মুখে বাড়ানো ক্রসে ঠিকমতো ষট নিতে পারেননি তিনি।
৩৭তম মিনিটে কেইনের পায়ের ছোঁয়াতেই এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ডান দিক থেকে সাকা দূরের পোস্টে ক্রস বাড়ান, ডিফেন্ডাররা বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বাঁ পায়ের নিখুঁত টোকায় গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন অধিনায়ক।
বিশ্বকাপ কিংবা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, দুই প্রতিযোগিতার বাছাইয়ে মাঠে নামলেই যেন আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন কেইন। বাছাইয়ে এই নিয়ে ২৮ ম্যাচে ৩৩টি গোল করলেন, সঙ্গে অ্যাসিস্ট ৯টি। এই নিয়ে সবশেষ ১৯ ম্যাচের ১৮টিতেই পেলেন জালের দেখা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৮২ ম্যাচে কেইনের গোল হলো ৫৫টি। এর মধ্যে ওয়েম্বলিতে ৩০ ম্যাচে তার গোল ২১টি।
এগিয়ে যাওয়ার তিন মিনিটের মধ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইংল্যান্ড। এবার হেন্ডারসনের ছোট পাস ধরে একটু এগিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শট নেন তরুণ উইঙ্গার সাকা। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি গোলরক্ষক। ৪২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারতো আরও। তবে এ যাত্রায় কেইনের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক আনাতোলি ত্রুবিন।
বিরতির পর আরও চাপ বাড়ায় ইংল্যান্ড। করতে থাকে একের পর এক আক্রমণ, প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেঙে দারুণ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেনি কেউ। তাতে অবশ্য জয় নিয়ে কখনোই ইংলিশদের তেমন ভাবনায় পড়তে হয়নি। প্রতিপক্ষের দাপটে গোলের লক্ষ্যে কোনো শটই রাখতে পারেনি ইউক্রেইন। দুই ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড।