রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব এনামুল হকের ফেসবুক আইডি হ্যাক ও ফেক আইডি ব্যবহারে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আল-আমিন (৩২) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩ এর একটি দল। গ্রেপ্তার আল আমিন চাঁদপুরের হাইমচরের নুরুল ইসলামের ছেলে। বুধবার এক বার্তায় এ তথ্য জানায় র্যাব।
র্যব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক জানান,র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি দল রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মঙ্গলবার বিকেলে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে।
এএসপি ফারজানা হকের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আল আমিন প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এই চক্রটি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব এনামুল হকের নামপরিচয় ব্যবহার করে ফেক ফেসবুক আইডি থেকে চাকরি প্রত্যাশী বেকার যুবকদের কাছ থেকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
ভুক্তভোগী কর্মকর্তা বিষয়টি জানতে পারলে গত ২৩ মার্চ আল-আমিন এবং তার সহযোগী সুলতানা জেসমিনসহ (আটকের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন) অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করে রাজশাহী রাজপাড়া থানায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়ের পর থেকে আল আমিনসহ অন্য আসামিদের গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয় এবং একপর্যায়ে মঙ্গলবার র্যাব তাকে আটক করে।
আটকের পর তার দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে চক্রের অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারে র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আটক আল আমিনকে সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হয়েছে।
ফারজানা বলেন, গ্রেপ্তার আল-আমিন একজন বিকাশ, নগদ এবং মোবাইল ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তার এই মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসার সুযোগ নিয়ে প্রতারণামূলকভাবে সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের নাম-পদবি ব্যবহার করে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাজ করে আসছি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এসএএ/