নিজেদের মাঠে উজ্জীবিত ফুটবলের পসরা মেলল নিউক্যাসল ইউনাইটেড। মলিনতার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারল না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আবারও হোঁচট খেল এরিক টেন হাগের দল।
প্রতিপক্ষের মাঠে রবিবার (২ এপ্রিল) ২-০ গোলে হেরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দুঃসময় হলো আরও দীর্ঘায়িত। আন্তর্জাতিক বিরতির আগের দুই রাউন্ডে লিভারপুলের বিপক্ষে ৭-০ ব্যবধানে ভরাডুবির পর সাউথ্যাম্পটনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল তারা। ব্যর্থতার ধারায় এবার তারা হেরেই গেল।২৭ ম্যাচে দুই দলের পয়েন্টই সমান ৫০ করে; গোল পার্থক্যে এগিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নিউক্যাসল। ২৯ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা আর্সেনাল অনেকটা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা ম্যানচেস্টার সিটি ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।
শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে ইউনাইটেডকে চেপে ধরার টেষ্টা করছিল নিউক্যাসল। কিছুটা কোণঠাসা থাকা ইউনাইটেডও পাল্টা জবাব দিতে ছিল মরিয়া। জমে ওঠে ম্যাচ। দ্বাদশ মিনিটে সফরকারীদের ডাচ ফরোয়ার্ড ভট ভেহর্স্টের শট বাইরের জাল কাঁপায়।
প্রথম ভালো সুযোগটি তৈরি করে নিউক্যাসলই। সপ্তদশ মিনিটে জ্যাকব মার্ফির ক্রসে আলেক্সান্দার ইসাকের হেড কোনোমতে দাভিদ দে হেয়া ফিস্ট করে ফেরানোর পর জো উইলকের ফিরতি শটও খুঁজে পায়নি ঠিকানা। বল প্রতিহত হয় গোলরক্ষকের গায়ে লেগে। ৩৪তম মিনিটে ব্রুনো ফের্নান্দেসের ক্রসে দূরের পোস্টে দালোত সাইড ভলি করেছিলেন বটে, কিন্তু শট ছিল দুর্বল। সহজে বল জমে যায় নিউক্যাসল গোলরক্ষকের গ্লাভসে। ৪১তম মিনিটে রুডিগারের ভলি যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
গোলশূন্য প্রথমার্ধে ইউনাইটেডের বিবর্ণতা ফুটে ওঠে পরিসংখ্যানেও। মাত্র দুটি আক্রমণ ছিল তাদের, কিন্তু কোনোটিই ছিল না গোলমুখে। তুলনায় ১১ আক্রমণের ৩টি লক্ষ্যে রাখলেও গোল তুলে নিতে পারেনি নিউক্যাসল।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলায় কিছুটা গতি ফেরে। তা আরও বাড়াতে ৬২তম মিনিটে ভেহর্স্ট ও রুডিগারকে তুলে অঁতলি মার্সিয়াল ও জেডন স্যানচোকে নামান ইউনাইটেড কোচ। এর একটু পরই গোল হজম করে বসে তারা। ডান দিক থেকে ব্রুনো গিমারাইশের বাড়ানো ক্রস হেডে গোলমুখে বাড়ান দূরের পোস্টে থাকা অ্যালান সা-মাক্সিমা, হেডেই সুযোগ কাজে লাগান উইলক।
এগিয়ে গিয়ে নিউক্যাসল হয়ে ওঠে আরও আত্মবিশ্বাসী। আক্রমণের পাশাপাশি রক্ষণেও দেয় বাড়তি মনোযোগ। তাদের দেয়ালে বাকিটা সময়েও চিড় ধরাতে পারেনি ইউনাইটেড। উল্টো ৮৭তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে হেডে ক্যালাম উইলসন ব্যবধান দ্বিগুণ করলে ম্যাচের ভাগ্য লেখা হয়ে যায়।