এবার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীও সালাউদ্দিনকে একহাত নিলেন!

0
91

সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাই পর্বে খেলতে না পাঠিয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বেশ ঝড় তুলেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত তার রেশ পৌঁছেছে। কাজীর কাছে জবাবদিহিতাও চাওয়া হয়েছে।

এবার এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ হাসানও। আজ রবিবার বিকেলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে নিজ কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমে জাহিদ হাসান বলেছেন, ‘আমি মনে করি নারী ফুটবল দলকে বিদেশে পাঠানোর ইচ্ছাই ছিল না তাদের (বাফুফের)। এই জন্যই এমন নাটক সাজিয়ে তাদের দোষটা আরেকজনের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ মিয়ানমারে গত ৬ এপ্রিল শুরু হয়েছে মেয়েদের অলিম্পিক বাছাই পর্বের ‌’বি’ গ্রুপের খেলা। কিন্তু ২৯ মার্চ বাফুফে জানায় অর্থ সংকটের কারণে মিয়ানমারে দল পাঠােচ্ছে না তারা। এর আগে ২৭ মার্চ বাফুফে দল পাঠানোর জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বরাবর টাকা চেয়ে আবেদন করে। এভাবে এত তাড়াহুড়ো করে টাকা চাওয়ার ব্যাপারটিকে ‘নাটক’ বলে মনে হয়েছে মন্ত্রীর।

মন্ত্রী এ বিষয়ে বলেছেন, ‘নারী ফুটবল দলের অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করার জন্য যে প্রস্তাবনা তারা দিয়েছিলেন, সেখানে আমাদেরও প্রাথমিকভাবে দোষারোপ করা হয়েছে। বলেছেন, সরকার বা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দেয়নি এ জন্য দল পাঠাতে পারেনি। তারা যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এ জন্য কখনোই আর্থিক সহযোগিতা এর আগে সেভাবে চায়নি। তারপরও আমরা ২৭ মার্চ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে চিঠি পেয়েছি। কিন্তু সেখানে উল্লেখ ছিল ৩১ মার্চের মধ্যে তাদের অবগত করানোর যে তাদের ৯২ লাখ টাকা প্রয়োজন। অথচ এক দিন পরই তারা জানালেন যে টাকা পাচ্ছেন না বলে টিম পাঠাতে পারছে না। কীভাবে এটা হয়?’

শেষ মুহূর্তে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর বিষঢে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন ‘এটা তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করেছে। কেন এত তড়িঘড়ি করে চিঠিটি দিলেন, কেন তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন সময়ের আগে? এ ধরনের টুর্নামেন্টে অংশ নিতে হলে নিশ্চয় তারা ৩ মাস বা ৬ মাস আগে জানতে পেরেছে। তারা এত দিন পরে জানালেন কেন? তারা যে অলিম্পিক বাছাইয়ে যেতে পারল না এটার মধ্যে কিছু একটা আছে। আমাদের পক্ষ থেকেও বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও বিষয়টি অবগত করছি।’ ‘যে কোনো সংস্থার কাছে টাকা চাইতে হলে একটু সময় লাগে, সময় দিতে হবে তাদের। আমাদের কাছে টাকা চাওয়ার পর অর্থ মন্ত্রণালয়ে এই অর্থ ছাড়ের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে চিঠি লিখেছি। সেটির জবাব আসার আগেই তারা এই ধরনের একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। এবং সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমি মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি নারী খেলোয়াড়দের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন, তাকেও অবগত করা যেত।’

যুব ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জানান, বাফুফে সভাপতি তাকেও কিছু জানাননি, ‘ফেডারেশনের সভাপতি মহোদয় (কাজী সালাউদ্দিন) আমাকে ফোন করতে পারতেন। বলতে পারতেন, যে টাকার জন্য আটকে গেলাম, কি করা যায়। কিন্তু উনিও কোনো কথা বললেন না। হঠাৎ করে এক দিনের মাথায় সংবাদ সম্মেলন করে খেলা থেকে পিছিয়ে গেলেন। এবং এটার জন্য সরকার ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে দোষারোপ করা হলো। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here