শেষ বলে অবিশ্বাস্য জয় লক্ষ্ণৌয়ের

0
90

চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ২১২ রানের বড় সংগ্রহ পায় বিরাট কোহলি-ম্যাক্সওয়েলরা। জবাব দিতে নেমে লক্ষ্যে ঠিকই পৌঁছায় লক্ষ্ণৌ। তবে অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত।

ওপেনিংয়ে ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে দুর্দান্ত শুরু করেন কোহলি ও ডু প্লেসিস। ৬৯ বলে গড়েন ৯৬ রানের জুটি। সমান ৩৫ বলে দুইজনই দেখা পান ফিফটির। ভয়ঙ্কর এই জুটি ভাঙেন অমিত মিশরা। ৪৪ বলে ৪ ছক্কা ও ৪ চারে ৬১ রান করে উইকেট হারান কোহলি। তবে ডু প্লেসিস ঠিকই ব্যাট চালাতে থাকেন একপ্রান্তে। তিনে নামা ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে গড়েন শতরানের জুটি। ২৪ বলে ফিফটি হাঁকান তাকে সঙ্গ দেওয়া অজি ব্যাটার।তাদের মাত্র ৫০ বলে ১১৫ রানের জুটিতে দুইশ পার করে ব্যাঙ্গালুরু। শেষদিকে ম্যাক্সওয়েলকে বিদায় করে এই জুটি ভাঙেন মার্ক উড। ২৯ বলে ৬ ছক্কা ও ৩ চারে ৫৯ রান করে বিদায় নেন ম্যাক্সি। ৪৬ বলে ৫ ছক্কা ও ৫ চারে ৭৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ডু প্লেসিস।  

রান তাড়ায় খেলতে নেমে ২৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে লক্ষ্ণৌ। কাইল মায়ার্স ০, দিপক হুডা ৯ ও ক্রুনাল পান্ডিয়া ০ রানে বিদায় নেন। এরপর স্টইনিস এসে ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন; তাকে সঙ্গ দেন লোকেশ রাহুল। ২৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন স্টয়নিস। রাহুল অবশ্য বিদায় নেন ১৮ রান করেই। তবে স্টইনিস করেন ৩০ বলে ৫ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৫ রান।

এরপর ক্রিজে নেমেই তাণ্ডব চালান নিকোলাস পুরান। মাত্র ১৫ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। যেটি এই আসরেরর দ্রুততম ফিফটি। সবমিলিয়ে আইপিএলের দ্বিতীয় দ্রুততম। তবে জয় নিশ্চিত করার আগেই ফিরতে হয় তাকে। ১৯ বলে ৭ ছক্কা ও ৪ চারে ৬২ রান করে বিদায় নেন ক্যারিবিয় এই ব্যাটার। আয়ুস বাধোনিও চেষ্টা চালান জয় নিশ্চিত করতে। তবে ২৪ বলে ৩০ রান করে উইকেট হারান তিনি।

শেষ ওভারে ৫ রান তুলতে গিয়ে লক্ষ্ণৌ হারিয়ে ফেলে ২ উইকেট। শেষ বলে তাদের দরকার ছিল এক রান। হার্শাল প্যাটেলের বলে ব্যাট লাগাতে না পারলেও দৌড় দিতে ভুলেননি আভেশ খান। উইকেটের পেছনে থাকা ব্যাঙ্গালুরু উইকেটরক্ষক দীনেশ কার্তিক বল ধরতে না পারায় সহজেই এক রান নিয়ে ফেলে লক্ষ্ণৌ। তাই ম্যাচ আর সুপার ওভারে গড়ায়নি। 

ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ৩ উইকেট করে নেন মোহাম্মদ সিরাজ ও ওয়েন পার্নেল। জোড়া উইকেট পান হার্শাল প্যাটেল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here