শবেকদরের করণীয়

0
78

লাইলাতুল কদর আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য এক শ্রেষ্ঠ উপহার। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এ পুণ্যময় ও মহিমান্বিত রাতের প্রত্যেকটা মুহূর্তকে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সর্বোচ্চভাবে সচেষ্ট হওয়া। এ রাতের উল্লেখযোগ্য করণীয় হলো-

১. সিয়াম সাধনার পাশাপাশি এ মর্যাদাবান রাতকে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করা।

২. রমজানের শেষ দশকে এ মহিমান্বিত রাত তালাশ করা।

৩. ফরজ নামাজসমূহ জামাতের সঙ্গে আদায় করা।

৪. তারাবি, নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, তাসবিহ, তাহলিল, দোয়া, দরুদ ও অন্যান্য ইবাদতের মাধ্যমে এ রাত পালন করা।

৫. আল্লাহতায়ালার দরবারে খালেসভাবে তওবা-ইস্তেগফার করা।

৬. পিতা-মাতার অনুগত থাকা, তাদের সঙ্গে সদাচরণ করা ও তাদের থেকে দোয়া নেওয়া।

৭. পিতা-মাতা, নিকটাত্মীয় ও সব মুসলিমের জন্য দোয়া করা।

৮. যাবতীয় হারাম ও অন্যায় কাজ থেকে নিজকে মুক্ত করে নেওয়ার ওয়াদা করা এবং তা পালন করা।

৯. অন্যের হক নষ্ট করলে, আমানতের খেয়ানত করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হক প্রদানের মাধ্যমে মুক্তি লাভের চেষ্টা করা।

১০. অন্যায়ভাবে কাউকে কোনোরূপ কষ্ট দিয়ে থাকলে, তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া।

১১. পরিবারের সব সদস্যকে রাত জাগরণের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।

১২. তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা।

১৩. কোরআনে কারিমের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক গভীর করা, অধিক অধিক তেলাওয়াত করা, বুঝার চেষ্টা করা এবং সে অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালনা করা।

১৪. আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.)-এর আদিষ্ট বিষয়গুলোর পরিপূর্ণ প্রতিপালন ও নিষিদ্ধ বিষয়গুলো বর্জনে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়া।

১৫. কল্যাণ, সফলতা ও মুক্তির লক্ষ্যে বেশি বেশি চেষ্টা করা।

১৬. মহান রবের কাছে বিশেষ রহমত ও ক্ষমা প্রার্থনা করা। হাদিসে এসেছে, হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেন, হে রাসুল! যদি আমি লাইলাতুল কদর জানতে পারি তাহলে তাতে কী বলব? রাসুল (সা.) তার জবাবে বলেন, ‘তুমি বলবে, ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাসেন, আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ -জামে তিরমিজি

১৭. এ মহিমান্বিত রাতের অন্বেষণ শুধু ২৭তম রাতে সীমাবদ্ধ না রেখে শেষ দশকের বিজোড় রাতসমূহে তালাশ করা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here