২০২৩ আইপিএলে সোমবার রাতে মুখোমুখি হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও লক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টস। লো স্কোরিং এই ম্যাচে ব্যাট-বলের লড়াই ছাপিয়ে কথার লড়াইয়ে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি-গৌতম গম্ভীর। শেষ পর্যন্ত সতীর্থদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামলেছেন দুই দলের সাপোর্ট স্টাফরা।
ঘটনার সূত্রপাত ম্যাচ শেষে দু’দলের ক্রিকেটারদের হাত মেলানোর সময়। ম্যাচ চলাকালীন লক্ষ্মৌয়ের উইকেট পড়ার পরে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে উল্লাস করছিলেন কোহলি। এসময় লক্ষ্মৌয়ের ডাগআউটের দিকে তাকিয়ে মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করে থাকার ভঙ্গি দেখান বেঙ্গালুরুর সাবেক এই অধিনায়ক।আফগানিস্তানের ক্রিকেটার নাবিন উল হক আউট হওয়ার সময়ও উত্তেজিত হয়ে উল্লাস করেন কোহলি। টুপি খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন। সেটা হয়তো ভালোভাবে নেননি নাবিন। তাই হাত মেলানোর সময় কোহলিকে কিছু একটা বলতে দেখা যায় এই আফগান ক্রিকেটারকে। সঙ্গে সঙ্গে জবাবও দেন কোহলি। তার পরই সেই বিতর্কে যোগ দেন গম্ভীর। আর তাতেই বিবাদ বেড়ে যায়।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে দেখে সেখানে এসে উপস্থিত হন দু’দলের বাকি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা। কোহলি ও গম্ভীর দু’জনেই দিল্লির। লক্ষ্মৌয়ের স্পিনার অমিত মিশ্রা ও সহকারী কোচ বিজয় দাহিয়াও একসময় দিল্লির হয়ে খেলেছেন। সেই কারণে তারা কোহলি-গম্ভীরকে ভালোভাবে চেনেন। তাই তারাই বেশি উদ্যোগী হয়ে দু’জনকে সামাল দেন। লক্ষ্মৌয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও ছিলেন সেখানে। গম্ভীরকে শান্ত করার চেষ্টা করেছেন লক্ষ্মৌ অধিনায়ক। আর কোহলিকে সরিয়ে নিয়ে যান আরসিবির বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস।
কিন্তু সেখানেই সব থেমে যায়নি। তিনি যে গম্ভীরের কথা ভালোভাবে নেননি সেটা কোহলির চোখ-মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। বাউন্ডারির ধারে দাঁড়িয়ে রাহুলের সঙ্গে অনেকটা সময় কথা বলেন তিনি। ঠিক সেই সময় সেখানে উপস্থিত হন লক্ষ্মৌয়ের মালিক সঞ্জীব গোয়েনকা। তার সঙ্গে অবশ্য হাত মেলান কোহলি।
কোহলির সঙ্গে গম্ভীরের বিবাদ এটাই যে প্রথম তা কিন্তু না। এর আগে গম্ভীর যখন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক ছিলেন তখনও দু’জনের মধ্যে মাঠে বিবাদ হয়েছে। একে অপরের দিকে তেড়ে গিয়েছেন তারা। এমনকি বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে ডাগআউটে চেয়ারে লাথিও মারতে দেখা গিয়েছে গম্ভীরকে।