খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় সড়কের পাশে পড়ে ছিল এক যুবকের লাশ। আজ বুধবার সকালে উপজেলার সুধীর মেম্বার পাড়া এলাকায় আবু সৈয়দের দোকানসংলগ্ন বোয়ালখালী-জামতলী সড়কের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত যুবকের নাম রাহুল কর্মকার (৩৩)। তিনি পেশায় কামার। বোয়ালখালী বাজারে তাঁর দোকান আছে। তাঁর বাড়ি বোয়ালখালী সদর ইউনিয়নের সুধীর মেম্বার পাড়ায়।
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী রূপা কর্মকার বলেন, তাঁর স্বামী গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। রাত সাড়ে ৯টায় মুঠোফোনে সবশেষ তাঁর সঙ্গে কথা হয়। তাঁকে (রাহুলকে) দ্রুত বাড়ি ফিরতে বলেছিলেন তিনি। এর পর থেকে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। আজ সকালে পেলেন স্বামীর লাশ। তাঁর স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ হত্যার বিচার চান। রূপা বলেন, তাঁদের দুই সন্তান আছে। দুই সন্তান নিয়ে এখন তিনি কোথায় যাবেন, বুঝতে পাচ্ছেন না।
আজ সকালে সুধীর মেম্বার পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশে যুবকের লাশ পড়ে আছে। তাঁর কপাল ও কোমরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশের পাশেই বিলাপ করছিলেন নিহত রাহুলের মা বিভা কর্মকার, স্ত্রী রূপা কর্মকার ও বোন নন্দিতা কর্মকার।
বোয়ালখালী সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও সুধীর মেম্বার পাড়া এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করে সড়কের পাশে লাশ ফেলে গেছে। ঘটনাস্থলে দুটি মুঠোফোন পাওয়া গেছে।
নিহত রাহুলের চাচা সনাতন কর্মকার বলেন, ‘আমি সকালে বোয়ালখালী বাজারে দোকান খুলতে যাওয়ার পথে ভাতিজার লাশ পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দিই। আমার ভাতিজার শত্রু ছিল না।’
মা বিভা কর্মকার বিলাপ করতে করতে বলছিলেন, ‘আমার বুকের ধনরে কারা কেড়ে নিল’।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলী বলেন, নিহত যুবকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।