রোহিঙ্গা সমাধানে ভারতকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

0
146

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য ভারতকে অধিকতর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। এ সময় তিনি এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও তাদের অবস্থান শুধু বাংলাদেশেই নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য সমস্যা তৈরি করছে। এ সময় ভারতকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এই সম্পর্ককে দৃঢ় ও অনন্য বলে অভিহিত করেন। পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের জনগণ ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি। বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতে অবস্থাকালীন প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণের কথাও উল্লেখ করেন। বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এর ফলে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।

বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য যে চুক্তি হয়েছে তাতে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে। গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে নিজ দেশে পণ্য পরিবহণের বাণিজ্যিক অনুমতি পেয়েছে ভারত। এর আগে ২০১৮ সালে ভারতে এসিএমপি (চট্টগ্রাম এবং মোংলা পোর্ট) চুক্তি সই করে ঢাকা ও দিল্লি। এর আওতায় ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে নিজ দেশে পণ্য পরিবহণের অনুমতি দেয় বাংলাদেশ। পানি বণ্টন চুক্তিসহ দুই দেশের অমীমাংসিত ইস্যুগুলো পারস্পরিক সহযোগিতা ও আলোচনার মাধ্যমে অচিরেই সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় ভারত। গত দেড় দশকে দুই দেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। উভয় দেশের জনগণ তার সুফল ভোগ করছে। সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, এর ফলে এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা এসেছে, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির সচিবরা এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার বিনয় জর্জ উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here