বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্রবধূ (কাজী অনিরুদ্ধর স্ত্রী) প্রয়াত কল্যাণী কাজীকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন অসংখ্য মানুষ।
রবিবার তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত কলকাতার রবীন্দ্র সদনে শায়িত ছিল তার মরদেহ। সেখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন কলকাতায় মেয়র ও রাজ্যের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, সিপিআইএম নেতা রবীন দেব প্রমুখ। এরপর কল্যানী কাজীর নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার পূর্ণ দাস রোডের বাড়িতে। সেখান থেকে পার্ক সার্কাসের গোবরা কবরস্থানে। সেখানেই প্রয়াত স্বামী কাজী অনিরুদ্ধর পাশে সমাধিস্ত করা হবে কল্যাণী কাজীকে।
প্রয়াত কল্যাণী কাজীর মেয়ে অনিন্দিতা কাজী বলেন, ‘আমি অনাথ হব ভাবিনি। মা অনেক কষ্ট বুকে চেপে রেখে হাসিমুখে থাকতেন।’ এরপরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে যাদের ভাবধারায় বড় হয়েছি, তারা সব একে একে চলে যাচ্ছেন। সমরেশ মজুমদারের চলে যাওয়াটা নিশ্চয় বড় ক্ষতি। এরপর কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন, তিনি নিজেও একজন বড় শিল্পী। সেক্ষেত্রে আমাদের যে এই ক্ষতি সেটা কখনোই পূরণ হবে না।’
গত শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মাল্টি অর্গান ফেইলিওর হয়ে কলকাতার ‘শেঠ শুকলাল কারনানি মেমোরিয়াল’ (এসএসকেএম) সরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। কিন্তু প্রয়াত শিল্পীর মেয়ে অনিন্দিতা কাজী সেসময় নিউ জার্সিতে অবস্থান করায় রবিবার সকাল পর্যন্ত তার মরদেহ রাখা ছিল পিস ওয়ার্ল্ডে। সেখান থেকেই নিয়ে আসা হয় রবীন্দ্রসদনে।