রাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

0
90

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার (১৭ মে) বেলা ১১টায় দিবসটি উপলক্ষে শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে মূখ্য আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. শহীদ হোসাইন। বিশেষ আলোচক ছিলেন উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও হুমায়ুন কবির এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবাইদুর রহমান প্রামানিক। বক্তৃতায় ড. শহীদ হোসাইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক ও পারিবারিক জীবনের চিত্র তুলে ধরে স্মৃতিচারণ করেন। গবেষণাকালে ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কের দিকটি তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জার্মানিতে থাকা অবস্থায় ড. ওয়াজেদ, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার দুঃখ ভারাক্রান্ত সময়ের বর্ণনা দেন তিনি। এছাড়াও দরিদ্র দেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ায় শেখ হাসিনার পরিকল্পনা ও মানুষের কল্যাণে তাঁর দূরদর্শিতার দিকটি তুলে ধরেন তিনি।

অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ জমজ দুইটি শব্দ। কেননা এদেশের মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান, সেটা জাতি জানে। তারই রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নির্ভীক চিত্তে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি। আজ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপকার এই বঙ্গবন্ধু কন্যা। কিন্তু এই পথ এতো সহজ ছিল না। ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাকে দেশ থেকে নির্বাসন করেছিল। দেশে ফেরার পরেও বহুবার তাঁকে হত্যা চেষ্টা করেছে ষড়যন্ত্রকারীরা। কিন্তু তারা সফল হয়নি। বরং দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে একাই লড়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার হাত ধরেই উন্নয়ন আজ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। স্মার্ট জাতি হিসেবে পরিচিত হয়েছে বাঙালি।

রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অধ্যাপক আব্দুস সালাম প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে, দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আনন্দ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তৃতা দেন নেতৃবৃন্দ। 

তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে মানুষের উন্নয়ন তরান্বিত হবে। এই উন্নয়নের ধারা বেগবান করতে ছাত্র সমাজকে নিয়ে সর্বদা কাজ করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।  সমাবেশ শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here