ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক সড়কে ষাট পাকিয়া নামক স্থানে কাঁঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মনিরের গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে নলছিটি উপজেলার ষাইটপাকিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদুল হক মনির ও কাঠালিয়া থানার ওসি মো. মুরাদ আলী। নিহত যুবকের নাম মো. মামুন (৪৫)। তিনি নলছিটি উপজেলার মেরুহার এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ষাইটপাকিয়া ফেরিঘাট এলাকায় থেকে মোটরসাইকেল আরোহী মামুন বাজারের প্রধান সড়কে উঠতে যাচ্ছিলেন এমন সময় বরিশাল থেকে আসা কাঁঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদুল হক মনিরের সরকারি গাড়ি তাঁকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম )নিয়ে গেলে দুপুরেই তার মৃত্যু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত উপজেলা চেয়ারম্যান মনির তার সরকারি নিযুক্ত গাড়ি চালক মো. শামিমকে বাদ দিয়ে তার নিজস্ব দেহরক্ষী আবুল বাশার বাবুকে দিয়ে গাড়িটি চালিয়ে আসছেন। দুর্ঘটনার সময় বাবু গাড়িটি চালাচ্ছিল।
বিষয়টি স্বীকার করে চালক আবুল বাশার বাবু বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের ড্রাইভার না, আমি তার দেহরক্ষী। তার ড্রাইভার অসুস্থ থাকায় আমি গাড়ি চালিয়েছি। আমাদের গাড়ির কোনো ক্ষতি হয়নি। আমরা মানবিকভাবে তাকে (মামুন) আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়েছিলাম।
এদিকে ঘটনার পর কাঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এর সরকারি নিযুক্ত গাড়ি চালক মো. শামিমকে ফোন করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর লাইন কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখেন। এ বিষয়ে জানতে কাঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এমাদুল হক মনিরের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
নলছিটি থানার ওসি জানান, কাঁঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি মোটরসাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হয়। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান। তার পরিবারের লোকজন অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে উপজেলা পরিষদের গাড়িটির প্রকৃত চালকক আল আমিনের পরিবর্তে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চালক মো. বাবু।