নারীকে সমাজ বা রাষ্টের মূল অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা ও চ্যালেঞ্জ আছে। কিন্তু সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়নের পথ আরও সহজ হবে। রাজনীতি ও অর্থনীতিতে নারীদের অবদানকে পূর্ণ স্বীকৃতি দিতে হবে।
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রকল্প (অপরাজিতা) বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহের আয়োজনে “জাতীয় পর্যায়ে সংসদ সদস্যবৃন্দের সাথে তৃণমূল নারীনেত্রীদের সংলাপ”-এ অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। সংসদ সদস্য বেগম মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।অপরাজিতারা বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের মূল কমিটিতে নারীদের অবস্থান এখনও অনেক দুর্বল। ২০২৫ সালের মধ্যে রাজনৈতিক দলের মূল কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বর্তমান সরকার নারীবান্ধব সরকার। নারীদের উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে এবং সেটা দৃশ্যমান।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীর ব্যাপক অবদান রয়েছে এবং বাজেটও নারীবান্ধব করতে হবে।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক বলেন, বাংলাদেশে চাকরি, কর্মক্ষেত্র, ব্যবসা-বাণিজ্য সকল ক্ষেত্রই বলে দেয় যে, নারীদের অগ্রগতি হচ্ছে এবং অন্যান্য দেশের চেয়ে আমরা অনেক এগিয়ে আছি। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন অত্যন্ত জরুরি। বর্তমান সরকার নারীর ক্ষামতায়নে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, তৃণমূলের নারীরা ক্ষমতায়িত না হওয়ার প্রধান কারণ পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। অপরাজিতাদের দাবিগুলো বাজেট অধিবেশনে তুলে ধরার জন্য উপস্থিত সকল সংসদ্যদের অনুরোধ জানাচ্ছি।
সভাপতির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য মিডিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অপরাজিতাদেরও স্মার্ট হতে হবে।
প্রকল্পের ডেপুটি পরিচালক ফওজিয়া খোন্দকারের সংঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংলাপের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত।
সংলাপে নিজ নিজ কর্ম এলাকার বিভিন্ন আসনে প্রতিনিধিত্ব করা সংসদ সদস্যবৃন্দসহ, তৃণমূল পর্যায়ের নারীনেত্রীবৃন্দ, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহের নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ, সুইজারল্যান্ড হাইকমিশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাবিনা ইয়াসমিন লুবনা, হেলভিটাস বাংলাদেশের প্রতিনিধি এবং অপরাজিতা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী চার সংস্থা প্রিপ ট্রাস্ট, খান ফাউন্ডেশন, রূপান্তর ও ডেমক্রেসিওয়াচের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।