ভোটের মাঠে নূর মোহাম্মদেই আস্থা তৃণমূলের

0
389

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে রাজনৈতিক ডামাডোল শুরু হয়েছে। এর ব্যতিক্রম নয় কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসন। বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এলাকায় যাওয়া-আসা শুরু করেছেন। বিশেষ করে ক্ষমতাশীন আওয়ামিলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি। তারা এলাকার বিভিন্ন হাটবাজারে ঘুরাঘুরি করলেও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এমনকি সাধারণ ভোটারদের সারা পাচ্ছেন না।
স্থানীয় নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি, সাধারণ ভোটার রা ভরসা রাখছেন বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের উপর।

সাবেক এই পুলিশ প্রধান যখন যেখানে কাজ করেছেন সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবন শেষে রাজনীতির মাঠেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন সাবেক এই সচিব। যদিও রাজনীতির হাতে কড়ি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থায়, সে সময় বিপুল ভোটে মহসিন হলের ভিপি নির্বাচিত হন।

এব্যাপারে কটিয়াদী পৌরসভার ২ বারের মেয়র শওকত উসমান শুক্কুর আলী বলেন , আমার ৪০-৪৫ বছরের রাজনীতির জীবনে কখনো এমন জনপ্রিয় এমপি দেখিনি, যে কিনা সাধারণ মানুষের মনের ভিতরে জায়গা করে নিয়েছেন, এর অন্যতম কারণ সরকারি প্রতিষ্টান গুলো দালালমুক্ত রাখা বিশেষ করে থানা এবং হাসপাতালে মানুষজন তারা তাদের কাঙ্খিত সেবাটা পাচ্ছে।

খোজ নিয়ে জানা যায় বর্তমান সংসদ সদস্যের তার সময় কালের সংসদ অধিবেশন ও সরকারি বিশেষ কোন কাজ ছাড়া পুরো সময়টা নির্বাচনী এলাকায় নেতাকর্মী ও জনসাধারণের কাটিয়েছেন।

এব্যাপারে কটিয়াদী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চান্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, করোনার সময়টাতে মানুষজন যখন কেউ কারো খোঁজ খবর নেননি সেই ক্রান্তিলগ্নেও এমপি মহোদয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণের পাশে ছুটে গেছেন। তিনি নিজে কয়েকবার করোনায় আক্রান্ত হয়েও থেমে যাননি। সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন সব সময়।

কটিয়াদী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা বলেন,
এমপি স্যার সার্বক্ষণিক সাধারণ মানুষজন এবং এলাকার উন্নয়ন নিয়ে চিন্তা করেন। ২৮২ জন স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাথে ওয়ান টু ওয়ান কথা বলে তাদের এলাকার সমস্যার কথা শোনে সমাধান করে যাচ্ছেন। যেটি এর আগে কোন এমপি করেননি।

পাকুন্দিয়া উপজেলায় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায় বর্তমান এমপি নূর মোহাম্মদকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ তারা।

এব্যাপারে পাকুন্দিয়া পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম বলেন, পাকুন্দিয়া পৌরসভা সৃষ্টির পর প্রথমবারের মতো আওয়ামীলীগের মেয়র পেল পৌরবাসী। আর এটি সম্ভব হয়েছে এমপি মহোদয়ের নেতৃত্বগুণে। তিনি সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।উপজেলায় আওয়ামী নামধারী ২-৪ জন যারা আছেন তারা জনবিচ্ছিন্ন, তাদের সাথে নেই কোন কর্মী সমর্থক।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, পাকুন্দিয়া কলেজের ভিপি জেলা পরিষদের মেম্বার শফিকুল ইসলাম বলেন, এযাবতকালে যারা এমপি হয়েছেন প্রত্যেকেই নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু নূর মোহাম্মদ স্যার সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের খোজ খবর নেয়া এবং আর্থিকভাবে দুর্বল হলে সহায়তা প্রদান করেন যা এর আগে কোন এমপি করেননি।

উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি বাবুল আহমেদ বলেন, এই আসনে যারা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন এর জন্য কানাঘুষা করেন এবং ষড়যন্ত্রের চেষ্টায় লিপ্ত আজ এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তাদেরকে বলতে চাই আপনাদের মাপের দুই উপজেলায় নূর মোহাম্মদ সাহেবের শত-শত কর্মীসমর্থক রয়েছে।

সাবেক ছাএনেতা বুরুদিয়া ইউনিয়নের ২ বারের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা রুবেল বলেন, গত ৬-৭ বছরে কটিয়াদী-পাকুন্দিয়ার তৃণমূল আওয়ামিলীগসহ সাধারণ জনগণের সাথে এমন ভাবে মিশেগেছেন মনেই হয়নি তিনি পুলিশের আইজি, সচিব ও রাস্ট্রদূত ছিলেন। আসলে বর্তমানে কটিয়াদী-পাকুন্দিয়ায় নূর মোহাম্মদ এর বিকল্প কিছু নেই বলে অভিমত ব্যক্ত করেন সাবেক এই ছাত্রনেতা।

এম রহমান,কিশোরগঞ্জ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া)সর-জমিনে ঘুরে:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here