‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়ে পুলিশ সজাগ রয়েছে’

0
66

পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি এসএম রুহুল আমিন বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জঙ্গিবাদের সম্ভাব্য উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। এই ব্যাপারে পুলিশ সজাগ রয়েছে।

বুধবার সকালে কক্সবাজারের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে জঙ্গিবাদ দমনের ওপর বিট ও কমিউনিটি পুলিশিং নিয়ে দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) এবং ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে। অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জঙ্গিবাদের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছে না। এ নিয়ে ক্যাম্পে এন্টি টেররিজম ইউনিট কাজ করছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থাও কাজ করছে।  তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদকের বিস্তার রোধ নিয়েও পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোকে কোনোভাবেই জঙ্গিবাদের ক্ষেত্র করতে দেবে না এ ব্যাপারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যে বা যারা কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে সব সময় সজাগ রয়েছে পুলিশ। 

কর্মশালায় উল্লেখ করা হয়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাম্প্রতিককালে অপরাধের মাত্রা বাড়ছে। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম চার মাসে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত ২৪১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি হত্যা মামলা, ১২টি হত্যা চেষ্টা মামলা, ২৪টি অস্ত্র মামলা, ৯টি নারী নির্যাতন মামলা, ১৩৭টি মাদকের মামলা হয়েছে। এ ছাড়া মানব পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের মামলা রয়েছে।

এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশে কানাডিয়ান হাইকমিশন অফিসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর ব্রেডলি কোর্টস, এপিবিএন পুলিশের ডিআইজি এফডিএমএন জামিল হাসান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি কানিস ফাতেমা, অফিসার ইনচার্জ অন ইউএনওডিসি শাহ মোহাম্মদ নাহিয়ান, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম প্রমুখ। কর্মশালায় কমিউনিটি পুলিশ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন, চট্টগ্রাম জেলা এবং কক্সবাজার জেলা পুলিশের ৫০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here