বরিশাল জেলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে ৮ কোটি ১৯ লাখ টাকার মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। আর আংশিক ও পুরোপুরি মিলিয়ে মোট ৩১৪১টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৯টায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও কৃষিখাতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা পরিমাপ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার জানান, জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিজলা উপজেলায়। ওই উপজেলায় ২২০০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া আগৈলঝাড়ায় ৩৫, গৌরনদীতে ১১৫, উজিরপুরে ১৫০, বানারীপাড়ায় ১০০, বাবুগঞ্জে ১০৫, মুলাদীতে ৬০, মেহেন্দিগঞ্জে ১৩২, বরিশাল সদর ও মহানগরে ৬০ এবং বাকেরগঞ্জে ১৮১টির মত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২৫০৮টি আংশিক ও ৬৩৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
এদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ে ১৮৪৩টি মৎস্য খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খামার তলিয়ে যাওয়ায় ৫৮৫ মেট্রিক টন বড় মাছ এবং ২৪ লাখ পিস পোনা বেড়িয়ে গেছে। এতে প্রায় ৮ কোটি ১৯ লাখ টাকার মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে জেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হারুন অর রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার পর কৃষি দপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী মাঠে কাজ করেছি। এখনো আমরা হিসেব শেষ করতে পারিনি। আশা করছি বুধবার দুপুরের মধ্যে হিসেব নিরুপণ করা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার বরিশাল উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এতে জেলায় ৫৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়। এখন পর্যন্ত দেড় হাজার মিটার বেড়িবাঁধের ক্ষতি হয়েছে। সম্পদের ক্ষতি হলেও এই জেলায় প্রাণহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি।