ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ থেকে মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তিন দালালকে আটক করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে এদের মধ্যে একজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
রবিবার(৪ মে) বিকালে তাদের মেডিসিন ওয়ার্ড থেকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন: মো মাহফুজার রহমান(মুন), সবুজ ভূঁইয়া ও বিপুল ওরফে নাহিদ। এদের মধ্যে মাহফুজার রহমান (মুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাজমুল হক বলেন, মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তিন দালালকে আমরা আটক করি। তারা মেডিপ্যাথি দালাল হয়ে আমাদের হাসপাতালে স্টাফদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় করে। পরে বিষয়টি হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। পরে আনসার ও পুলিশ তাদের তিনজনকে আটক করে প্রশাসনিক ব্লকে নিয়ে আসে। এদের মধ্যে মাহফুজুর রহমান মুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের আইন বিভাগের ছাত্র হওয়ায় ঢাবি প্রক্টরের কাছে মুছলেকা নিয়ে তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। নাহিদ নামে আরও একজন শিক্ষার্থী হওয়ায় তাকেও মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সবুজ নামে আরেকজনকে শাহবাগ থানা হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মুন ছেলেটির মোবাইলে বারবার ফোন আসছিল যদি ইউনিভার্সিটি কোন ছাত্র এসে হঠাৎ কোনো কথা শোনার আগেই কোন গাড়ি বা কোন কিছু হামলা করত এটা হাসপাতাল ও সরকারের একটি বদনাম হতো। আমরা দ্রুত বিষয়টি টেকনিক্যালি ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পেরেছি।
পরিচালক আরও বলেন, আমরা গত সপ্তাহে গাইনি ওয়ার্ড থেকে অভিযান পরিচালনা করে চার জনকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশে হস্তান্তর করেছি। এ ধরনের অভিযান আমাদের হাসপাতালে অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেডিপ্যাথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ডাক্তার নবীনকে মুঠোফোনে ফোন দেয়া হয়। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনার প্যাথলজির তিনজনকে আটক করা হয়েছে আপনি জানেন কিনা। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আছে সে আপনার আত্মীয় বলে পরিচয় দেয়। ত্রিমঠ ভুবনে বলেন এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না আমি কিছু বলতে পারব না।
এসএএ/