গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকারের আত্মীয় স্বজন নিয়ে লুটপাটের জন্যই আজ দেশে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা থাকলেও সেটা চালানোর মতো সামর্থ্য সরকারের নাই। তিনি বলেন, জ্বালানি কেনার পয়সা নেই, কিন্তু ক্যাপাসিটি চার্জ ঠিকই নেওয়া হচ্ছে। এমনকি বিদেশি ডলারেও ক্যাপাসিটি চার্জ নেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এমন একটা ব্যবস্থা চালু করলেন যে, কয়লা কেনার পয়সা নাই, কিন্তু বসিয়ে রেখে অনেককে ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে। টাকা যেখানে ব্যয় করা দরকার সেখানে ব্যয় না করে অন্য জায়গায় ব্যয় করা হচ্ছে। তাই আমরা মনে করি এই বিদ্যুৎ সংকটের সকল দায় সরকারের।
সোমবার সকালে ১৪ দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা থেকে রংপুরগামী রোড মার্চের দ্বিতীয় দিনে সিরাজগঞ্জ শহরের কুটুমবাড়ি হোটেলে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব এ কথা বলেন।মতবিনিময় সভা শেষে পূর্ব নির্ধারিত শহরের মুক্তির সোপানো অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে না দেয়ায় সিরাজগঞ্জ রোড গোলচত্ত্বরে নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশ করেন।
সমাবেশে জোনায়েদ সাকী বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আমাদের দাবি অন্তর্বতী সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
গণতন্ত্র মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা রোড মার্চে বিভিন্ন জায়গায় বাধার সম্মুখীন হয়েছি। গতকাল টাঙ্গাইলে হয়েছি, সিরাজগঞ্জেও হলাম। তারা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিচ্ছে না। বাধা তৈরি করছে। সরকার এতটাই জনবিচ্ছিন্ন, বেসামাল, অস্থির ও আতংকের মধ্যে আছে যে, গণতন্ত্র মঞ্চের একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, রোডমার্চ, অবস্থান তারা করতে দিতে চান না।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডির) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, সিরাজগঞ্জ জেলা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক নুর হোসেন প্রমুখ।